বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর চামেলীবাগে স্ত্রীসহ পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় (ঐশীর মা-বাবা) গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির অংশের (মামলার) রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল রোববার দিন ধার্য রয়েছে।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল এ মামলায় উভপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করা হয়। ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক মো. আল মামুনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে।
ওই বছরের ২৪ আগস্ট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ। গৃহকর্মী সুমির বয়স ১৬ বছরের কম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক চার্জশিট দাখিল করা হয়। ঐশীর মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সম্পন্ন হলেও সুমির মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় ঢাকার শিশু আদালতে। সুমির এ মামলায় ৪৯ জনের মধ্যে ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
অপরদিকে গত বছরের ৬ মে ঐশীসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর এ মামলার বিচার শেষে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। দুটি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা করে ঐশীকে দুইবার ফাঁসি ও দু’বারে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেয়ার অপরাধে দু’বছরের কারাণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করেন ঐশী। আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ৫ জুন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঐশী রহমানের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদের আদেশ দেন। একই সঙ্গে ঐশীকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস