আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মানুষের অধিকার হরণকারী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন একটা অবৈধ সরকার, দুর্নীতিবাজ, দেশের অর্থ সম্পদ লুটকারী এবং মানুষের অধিকার হরণকারী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র। আজ এদেশে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে। নির্বাচনী খেলা চলছে। এই নির্বাচনে জনগণের মত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না। কাজেই এই নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন হবে না। কারণ সরকারবিরোধী কোনো পক্ষ এই নির্বাচনে নেই। সেকারণে এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেজন্য দেশের মানুষ এই নির্বাচন বর্জন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন একটা অবৈধ সরকার, দুর্নীতিবাজ, দেশের অর্থ সম্পদ লুটকারী এবং মানুষের অধিকার হরণকারী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র। আপনারা তাদেরকে না বলুন। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই নির্বাচনী খেলা ব্যর্থ করে দিন।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এতে বড় বড় কথা আছে। কিন্তু গতকালই বাংলাদেশের এই ঢাকা মহানগর ছিল বায়ুদূষণে সারা দুনিয়ায় শীর্ষে। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) বলেন, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। কী উন্নয়ন হলো তাহলে? আপনারা এই ঢাকা শহরকে বায়ুদূষণে শীর্ষ করেছেন!’
এসময় সরকার পতনের লড়াইয়ে বিএনপি বিজয়ী হবে এবং দেশের জনগণ বিজয়ী হবে বলেও মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ