ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালী থেকে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাসের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ছয় লাখ মানুষ। শুক্রবার মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল দুটির গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হলে চট্টগ্রামে প্রভাব পড়ে শনিবার থেকে।
শনিবার কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে বিদ্যমান দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল গভীর সমুদ্রের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ১২ মে রাত ১১টা থেকে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটি বন্ধ রয়েছে।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম অঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও ৫-৬ দিন সময় লাগতে পারে। অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলএনজি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এদিন শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রামের আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন হতে শুরু করে। তবে রোববার সকাল থেকে নগরীর প্রায় সব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে নগরীর বেশিরভাগ মানুষ।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা গ্যাস দিয়ে চট্টগ্রামের চাহিদা মেটানো হতো। এখন ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে এলএনজি টার্মিনাল দুটি বন্ধ রয়েছে। এতে এলএনজি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চট্টগ্রামে সার কারখানা, গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কর্ণফুলী গ্যাস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাসের অধীনে ছয় লাখ দুই হাজার ২৭৫ জন গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে গৃহস্থালি গ্রাহক রয়েছেন ৫ লাখ ৯৮ হাজার ১ জন। বাণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছেন ২ হাজার ৯১১ জন এবং শিল্প গ্রাহক ১ হাজার ১৮১ জন। কেপটিভ পাওয়ার রয়েছে ২০১টি। তাছাড়া বিদ্যুৎ ৫টি, সার কারখানা ৪টি, চা বাগান দুটি এবং সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন রয়েছে ৭০টি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ