বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৭০০ ছাড়াল হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ অর্থছাড়ের শর্ত পর্যালোচনায় ঢাকায় আসছে আইএমএফের দল সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: নাহিদ গোপালগঞ্জে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের আভাস, হতে পারে ঘূর্ণিঝড় দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড দু’দলেই দুঃসংবাদ রাঙামাটির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড় ঈদের আনন্দ নেই আবু সাঈদের পরিবারে যে কারণে উন্নত চিকিৎসায় বিকল্প ভাবা হচ্ছে চীনের হাসপাতাল ট্রাম্পের ‘লিবারেশান ডে’-র আশঙ্কায় নিম্নমুখী শেয়ার বাজার টঙ্গীর টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে হাইটেক পার্কে রূপান্তরের উদ্যোগ মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আহত শতাধিক দুই অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা ফেসবুকে ভুয়া আইডির বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারের পরিচালকের জিডি জুলাই কন্যাদের সম্মানজনক মার্কিন পুরস্কার, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র মহাখালীতে আজও ঘরমুখো যাত্রীর ভিড়, ঢাকা ফিরছে খালি বাস ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

এলএনজি কিনতে সরকারের ৩৫ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

দেশে গ্যাসের উৎপাদন টানা কমছে। এ কারণে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু ডলারের সংকট থাকায় আমদানি বিল নিয়মিত পরিশোধ করা যাচ্ছে না। তাই আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নিচ্ছে সরকার। ৩৫ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্রে ঋণ নেওয়ার তথ্য জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ঋণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে গ্যারান্টার (নিশ্চয়তাদানকারী) হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক। আগ্রহী ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে জ্বালানি বিভাগ।
  
দেশে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদনকারী মার্কিন কোম্পানি শেভরনের বিল বকেয়া ১৫ কোটি ডলারের বেশি। এলএনজি বিল বকেয়া এখনো ২০ কোটি ডলারের বেশি। বিল বকেয়া বাড়তে থাকায় এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না বিদেশি কোম্পানি। ঋণসহায়তা পেলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা।

দেশে একসময় দিনে ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো। ২০১৮ সালের পর থেকে উৎপাদন কমতে থাকে। ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানির দিকে ঝুঁকে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোয় তেমন জোর দেয়নি তারা। গত বছরও দিনে গ্যাস উৎপাদিত হতো ২০০–২১০ কোটি ঘনফুট। উৎপাদন কমে এখন ১৯০ কোটি ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। আর আমদানি করা এলএনজি থেকে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ৯৫ কোটি ঘনফুট।

এর আগে এলএনজি কিনতে বিভিন্ন সময় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) থেকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নিয়েছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ঋণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে গ্যারান্টার (নিশ্চয়তাদানকারী) হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক। আগ্রহী ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে জ্বালানি বিভাগ।

গ্যাস বিলের মতো ডলার–সংকটে বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এদিকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চলতি অর্থবছরের বাকি চার মাসের জন্য চাহিদা আছে ৫০০ কোটি ডলারের। এটি ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খেয়ে এখন বহুজাতিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে।
 
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তির আওতায় এলএনজি কিনতে নেওয়া হচ্ছে ২০ কোটি ডলার। আর খোলাবাজার থেকে এলএনজি কিনতে নেওয়া হচ্ছে ৫ কোটি ডলার। এই ২৫ কোটি ডলার মূলত এলএনজি কেনার ঋণপত্র অনুসারে ধাপে ধাপে আসবে।

আর বাকি ১০ কোটি ডলার নেওয়া হবে বকেয়া শোধ করতে। এতে গ্যারান্টার হিসেবে বিশ্বব্যাংক কমিশন নেবে। এ ছাড়া বহুজাতিক ব্যাংকগুলো সুদ নেবে। কমিশন ও সুদ মিলে সহনীয় পর্যায়ে যে ব্যাংক প্রস্তাব দেবে, সেটি বিবেচনা করবে জ্বালানি বিভাগ।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বকেয়া থাকার কারণে ভালো কোম্পানি এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী হচ্ছে না। চাহিদা পূরণে আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। তাই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নেওয়া হচ্ছে। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঋণ নেওয়ায় সুদের হার বেশি হবে না। এ ছাড়া এলএনজি কেনার খরচ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাড়ানো হবে। ব্রুনেই ও সৌদি আরামকোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে জোর না দিয়ে এলএনজি আমদানির দিকে গিয়ে এ খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছিল গত সরকার। তাৎক্ষণিক সংকট সমাধানে ঋণ নেওয়া একটি সহজ উপায়। অন্তর্বর্তী সরকারও একই পথে হাঁটছে। ঋণ নিয়ে আমদানি বিল শোধের এ পরিকল্পনা সমাধান আনবে না। এটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।  

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সুদযুক্ত ঋণ নিয়ে দায় শোধ হবে না, উল্টো নতুন দায় তৈরি করবে। ঋণ নিয়ে বিল শোধের এ প্রক্রিয়া একটি দুষ্টচক্র। এলএনজি–নির্ভরতা দুষ্টচক্রের দায় আরও ঘনীভূত করেছে। ভবিষ্যতে ঋণ পেতেও সমস্যা হবে।  

বাংলা৭১নিউজ/এআরকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com