বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সংসদ সদস্যরা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, সেগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বলেছেন, যাদের হলফনামায় সম্পদের অসঙ্গতি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে কার্যকরি ব্যবস্থা নেবে দুদক।’
মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির প্রধান। বলেন, ‘দুর্নীতি দমনে নতুন সরকারের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার তা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমরা সরকারের এ দুর্নীতি বন্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বশিক্ত নিয়োগ করব।’
নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীদেরকে আটটি তথ্য সম্বলিত হলফনামা জমা দিতে হয়। এতে আগের পাঁচ বছরের তুলনায় সম্পদের হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়টিও উল্লেখ করতে হয়। একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তারা যে তথ্য দিয়েছেনর, তার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতিও আছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা দুদক সংগ্রহ করেছে। এটা ধর-মার-কাট কোনো বিষয় নয়। সেখানেই দুর্নীতি পাব, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপর এক প্রশ্নে জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কেবল বেসিক ব্যাংক নয়, আর্থিক খাতের সব দুর্নীতি বন্ধে কাজ করবে দুদক। তবে কোনো মেগা প্রকল্প, জনবল নিয়োগের বিষয়ে দুদক সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না।’
বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে ভোটের আগেই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুদক চেয়ারম্যান এই ঘোষণাকে একটি শুভ ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন। বলেন, “আমরা দেখব এবং ধরব। আমার বিশ্বাস এ সরকার দুর্নীতির রশি টেনে ধরবে, ‘মর্নিং শোজ দ্যা ডে’।”
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের অসংগতি রুখতেও আশ্বাস দেন দুদক চেয়ারম্যান। বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ যেখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাব সেখানেই গিয়ে আমরা হাজির হব।’
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ