বাংলা৭১নিউজ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী এমএলএসএস জাফরের অত্যাচারে থেকে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠত। জাফরের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী অফিস সহায়ক জাফর একজন র্দূনীতি পরায়ন কর্মচারী। সে ২০১২ সালে প্রথম পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। সেখানে বিভিন্ন দূর্নীতির কারণে তাকে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। পরবর্তীতে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বদলী হয়।
বর্তমানে হাসপাতালে এক বছর যাবত সে স্বেচ্ছাচারী ও দূর্নীীতর আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সে হাসপাতালের রোগীদের ক্লিনিকে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা –নিরীক্ষা করিয়ে সেখান থেকে অবৈধ অর্থ আয় করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারী জানান, অফিস সহায়ক মোঃ জাফর তত্ত্বাবধায়কের নাম দিয়ে সে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়।
সে বলে তত্ত্বাবধায়ক আমাকে সব দায়িত্ব দিয়েছেন আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। হাসপাতালের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা এমএলএসএস জাফরের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীপ হুইপ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (স্বাস্থ্য) বরিশাল, ও তত্ত¦াবধায়ক, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পটুয়াখালী এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছে।
ভুক্তভোগী কর্মচারীরা জানায়, জাফর কোন ডিউটি না করে সার্বক্ষনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সাথে থাকে এবং ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে ২য় ও ৩য় শ্রেনীর কর্মকর্তাদের সাথে দুর্বব্যবহারসহ অশোভন আচরন করে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তার দাফটে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। ২য় ও ৩য় শ্রেনীর প্রতিবাদী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে জাফর।
এ ব্যাপারে জাফর জানান, আমি ভালো কাজ করি এটা কারো সহ্য হয়না তাই আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য প্রমানিত হয়নি। এব্যাপারে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবদুর রহিম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের অভিযোগ সঠিক নয় বলেও তদন্ত রিপোর্ট আমার নিকট আছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস