২০২১-২০২২ অর্থবছরে বস্ত্রখাতের ৫টি উপখাতসহ ৩৮টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাবে। গত অর্থবছরের মতো এবারও ১% হতে ২০% হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য থাকছে। এর মধ্যে নতুভাবে যুক্ত ৪টি খাতে ৪% হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সকল খাতের মধ্যে রয়েছে দেশে উৎপাদিত চা, বাইসাইকেল ও এর পার্টস, এমএস স্টিল প্রোডাক্টস এবং সিমেন্ট শিট।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, এবার বিশেষায়িত অঞ্চলের (বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্ক) বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান সুবিধা ছাড়াও বিশেষায়িত অঞ্চলের ‘এ’ টাইপ ও ‘বি’ টাইপ প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪% হারে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য করা হয়েছে। বিশেষায়িত অঞ্চলের সকল ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১% হারে রপ্তানি প্রনোদনা সহায়তা পাবে।
চলতি অর্থবছরে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৪% হারে নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাসওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য হাল্কা প্রকৌশল পণ্য খাতের আওতায় রপ্তানি ভতুর্কির জন্য বিবেচিত হবে। পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন পণ্য (কম্প্রেসার) এবং এইচসিএফসিমুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেক্ট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় রপ্তানি ভতুর্কি প্রাপ্য হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, প্রযোজ্য সকলখাতে নগদ সহায়তা/রপ্তানি ভর্তুকি/প্রণোদনা সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রপ্তানির বিপরীতে নূনতম ৩০% দেশীয় মুল্য সংযোজন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বলেন, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের ন্যায় চলতি অর্থ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে প্রণোদনা সহায়তা বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি প্রদান করবে। আলোচ্য সময়ে সহায়তায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সমস্যা কটিয়ে উঠতে পারবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ