দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি এবার আর অতীতের মতো কোনো ‘ট্র্যাপে’ পা দেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের ট্র্যাপ। এবার আর কোনো ট্র্যাপে বিএনপি ও জনগণ পা দেবে না। বিএনপির আন্দোলন একটাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি, আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকার একটি হাসপাতালে দলের একজন আহত নেতার খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সারাদেশে থানা-উপজেলা পর্যায়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ওই কর্মসূচি চলাকালে হামলার শিকার হয়ে আহত নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বেপারী রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার ডেলটা হেল্থ কেয়ারে ভর্তি রয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সময় পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আক্রমণ করে। লক্ষ্য ছিল আবুল হোসেনকে হত্যা করা। সরকার দেশে ভয়াবহ ত্রাস আর সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিএনপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মূলত সন্ত্রাসী দল। বর্তমান সরকার সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। ছাড় দেওয়ার কথা বলে বিএনপির সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা ও আক্রমণ চালানো হচ্ছে। দেশের মানুষ এগুলো মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ৩০টি আসনও পাবে না। সেজন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা। আমরা বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা নাফিজ মোহাম্মদ আলমকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় র্যাব অসাংবিধানিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। এর দায় সরকারের। এজন্য সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছি। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের অধীনে তদন্তের কথা বলেছি।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ নাটোর জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।