অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচনে ডিসিরা (জেলা প্রশাসকরা) নির্ভয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তাদের ওপর নির্বাচন ঘিরে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব থাকবে না।
এসব কথা বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অধিবেশন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, এবারের নির্বাচন একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে হবে। কাজেই এবার ডিসিদের দলীয় তকমা থাকার সুযোগ নেই। এরপরও কোনো ডিসির ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো আপত্তি থাকলে সেটি আমাদের জানালে আমরা যৌক্তিক হলে বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব। তবে এবারের নির্বাচনে ডিসিরা নির্ভয়ে এবং নির্ভারভাবে কাজ করতে পারবেন। কারণ, নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার জন্য কোনো দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রভাবিত করার সুযোগ নেই।
পলিথিনের বিকল্প বাজারে না এনেই বন্ধের সিদ্ধান্ত কতটা সফল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পলিথিন বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা শহরে প্রতিদিন ২ কোটি পলিথিন ব্যবহৃত হয়। অথচ আমরা চাইলেই এর ব্যবহার থেকে বের হতে পারি।
সবার বাসাতেই চটের বা কাপড়ের ব্যাগ রয়েছে। চাল কেনার বস্তা, পুরোনো শাড়ি দিয়েও ব্যাগ বানানো যায়। মার্কেট কখনও খালি থাকে না। আমরা ধাপে ধাপে কাজটি করেছি। সুপারশপগুলো এখন আর বলে না যে, বিকল্প নেই। আমরা গতবছরই বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে বিকল্প সম্পর্কে বলেছি। কাপড়ের ব্যাগ, চটের ব্যাগ বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
তিনি আরও বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ না হলে মাইক্রোপ্লাস্টিকের পরিমাণ বাড়বে। এখন মায়ের দুধে এবং শিশুদের মস্তিষ্কে পর্যন্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। সরকার সফল নাকি ব্যর্থ সেটি ভাবার আগে বিবেচনা করা উচিত যে, পলিথিনের ফলে আমার কতটুকু ক্ষতি হচ্ছে। এটা অভ্যস্ততার একটি ব্যাপার। আমরা যুব মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাপড় ও চটের ব্যাগ বাজারে আনার চেষ্টা করছি। এটা অসম্ভব কোনো কাজ নয়।
সারা দেশে খাল উদ্ধারের প্রকল্পে অনেক জায়গায় বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসবের মধ্যেই (বাঁধার) আমাদের চলতে হবে। চকবাজারে আমাদের কর্মকর্তাদের অপদস্থ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন অধিদপ্তরের ১৫ জন কর্মকর্তাকেও শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।
সরকারি জমি অনেকেই দখল করে রেখেছে। তাকে সরতে বললে সে সরবে না, এটাই স্বাভাবিক। জনগণ এখন সুশাসন চায়। বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদেও আলোচনা হয়েছে। আগামী বাজেটে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে একটি সুরক্ষা বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস