বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এটা কি মামাবাড়ির আবদার, এসব এখন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আজ বুধবার দুপুরে মিরপুরে একটি গাড়ি তৈরির কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন মুখের বিষয়টা ততই উগ্র হয়ে আসে। এটা শরৎচন্দ্রের ভাষা। বিএনপির ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই সত্য। তারা এখন সংকোচিত হচ্ছে নেতিবাচক রাজনীতির কারণে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের মুখের বিষ উগ্র হয়ে উঠছে। তারা এখন আন্দোলন আন্দোলন করে চিৎকার করে নয় বছরে নয় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। সেই সামর্থ, সেই শক্তি তাদের নেই। নির্বাচনে সিডিউল ডিক্লেয়ারের আর চার-পাঁচ মাস বাকি। এর মধ্যে সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেগম জিয়া জেলে থাকলে তারা নির্বাচন করবে, কি করবে না- এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আর বেগম জিয়া জেল থেকে বের হবেন কিনা- সেটা আদালতের। তারা আমাদের কাছে, সাংবাদিকদের কাছে না এসে আদালতে কাছে গেলে ভালো করবেন। আদালতে গিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে বের করতে বলেন। এখানে সরকারের কোনো দায় নেই, সরকারের ওপর তারা দোষ চাপাচ্ছেন কেন?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দণ্ড দেননি এবং সরকার বেগম জিয়াকে জেলে রাখেনি। বেগম জিয়া জেলে সেজন্য বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, এজন্য নির্বাচন বন্ধ থাকবে না, বাংলাদেশের সংবিধান অচল হবে না। সংবিধান অনুযায়ী দেশও চলবে, গণতন্ত্রও চলবে, নির্বাচনও চলবে। বিএনপির জন্য কোনো কিছু আটকে থাকবে না।’
দুদিন আগে কূটনীতিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেহেতু বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের ডেকে এ দেশের নির্বাচন, খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে এবং দেশের বিভিন্ন বিষয় যেমন মাদকবিরোধী অভিযান- এসব নিয়ে তারা ব্রিফ করেছে। কাজেই আমাদের পার্টি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও কূটনীতিকদের কাছে আমাদের অবস্থান পরিষ্কারের বিষয় ছিল। যেখানে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ আছে সেখানে বিভ্রান্তি রিমুভের জন্য কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আলাপ-আলোচনা করেছি।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস