বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: কলকাতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘ঈগলের চোখ’ নামে কলকাতার একটি ছবির জন্য এ মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশেও ‘বিউটি সার্কাস’ নামে একটি অনুদানের ছবির শুটিং দ্বিতীয় লট শুরু করেছেন।

বিদেশী পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন ও নতুন ছবির শুটিং প্রসঙ্গে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* কলকাতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন। পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে কতটা আশাবাদী আপনি?

** আমি তো অলওয়েজ পজিটিভ। আমার সঙ্গে আরও পাঁচজন মনোনয়ন পেয়েছেন। ঋতুপর্ণা, স্বস্তিকা, রাইমা সেন, পাওলি দাম ও গার্গী রায় চৌধুরীর সঙ্গে লড়তে হবে। আমি মনে করি আমার কাজটাই সেরা ছিল। তবুও বিচারকদের রায়ে যেটা সেরা হবে সেটাতেই আমি সন্তুষ্ট থাকতে চাই। এটাও অনেক বড় প্রাপ্তি আমার জন্য।

* ২০১৪ সালেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন আপনি…

** অরিন্দম শীলের ‘আবর্ত’ ছবির জন্য ওই সময় মনোনয়ন পেয়েছিলাম। এবার একই পরিচালকের ‘ঈগলের চোখ’ ছবির জন্য মনোনয়ন পেয়েছি। এ ছবিতে আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি।

* মনোনয়নের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের শাকিব খান, আরিফিন শুভ, কুসুম সিকদার ও নুসরাত ফারিয়া ছিলেন। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন আপনি…

** এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। তাদের নামও আমি শুনেছি। তারা প্রত্যেকেই ভালো অভিনেতা-অভিনেত্রী। মনোনয়নে থাকলে আরও বেশি ভালো লাগত। এটা ভাবতেই ভালো লাগে, বাংলাদেশী অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও এখন বিশ্বের যে কোনো জায়গায় প্রতিযোগিতা করার মতো যোগ্যতা রাখে।

* অবশেষে বাংলাদেশে অনুদানের ছবি ‘বিউটি সার্কাস’-এর শুটিং শুরু করলেন। দীর্ঘদিন বাজারে চাউর ছিল এ ছবির কাজ শুরু হবে না…

** বাজারে অনেক গুজবই থাকে। এগুলোতে কান দিলে চলবে না। বিউটি সার্কাস ছবির বাজেট অনেক বেশি। শুধু সরকারি অনুদান দিয়ে ছবিটি শেষ করা যেত না। প্রথমেই ছবির কাজ শুরু করে দিলে অনেক সমস্যা হতো। পরিচালক-প্রযোজক বিষয়টি অনুধাবন করেই যথাসময়ে কাজ শুরু করেছেন। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই।

* বিউটি সার্কাসের জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?

** এ ছবিতে আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। যতটুকু প্রস্তুতি নেয়ার দরকার ছিল ততটুকু নেয়া হয়নি। চেষ্টা করছি সব ওভারকাম করে যেতে। শুটিং বাকি আছে এখনও। আশা করছি তার আগেই বাকি প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যাবে। এর মধ্যে অবশ্য প্র্যাক্টিস করা হয়েছে অনেক। আরও করছি। দেখা যাক কী হয়।

* কলকাতায় ব্যস্ততা কী নিয়ে?

** ওখানে চলতি বছর আমার দুটি বড় ছবি মুক্তি পাবে। কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘বিসর্জন’ ছবি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী। এটি পহেলা বৈশাখে মুক্তি পাবে। একটা শর্টফিল্মও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কয়েকটি ছবির ব্যাপারে কথা চলছে। তবে বাংলাদেশে ‘দেবী’, ‘বিউটি সার্কাস’ ছাড়াও কয়েকটি ছবির কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো শেষ করেই কলকাতায় মুভ করব।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস