বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মেরুকরণ থেকে এখনো নিজেকে স্বতন্ত্র জায়গায় রেখেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
তবে ৩ নভেম্বর নিজের অবস্থান পরিষ্কার করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শনিবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত সভায় তিনি ঘোষণা দেবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল।
কিন্তু সভার শুরুতে বিপত্তি দেখা দেয়। বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরীকে সভায় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ড. কামাল হোসেন উপস্থিত থাকায় সভায় আসেননি বি চৌধুরী।
সভায় কাদের সিদ্দিকী তার বক্তব্যের মাঝে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য আরও ২ দিন অপেক্ষা করতে বলেছেন। বি চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে সার্বিক ঐক্যের জন্য তিনি সময় নিচ্ছেন বলে ধারণা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, যদি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে ৫ তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টায় দলবল নিয়ে রাজধানীর বেইলী রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় গিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করবেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আমাকে যোগ দিতে বলেছেন। আমি যদি যোগ দেই, তাহলে মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করবো। আর যদি আপনাদের সঙ্গে নাও থাকতে পারি, তাও জানিয়ে দেবো। তবে, যেদিন প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন, আপনাদের বিজয় হয়ে গেছে। আমি যেখানেই থাকি না কেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের আগে মনে হয়েছিল আওয়ামী লীগ ২০ সিট পাবে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত ৪ দিন ধরে আমার দেখছি, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ১৯ সিট পাবে। এর বেশি পেলে আমাকে সাজা দিয়েন।’
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় ৪ নেতার স্বপ্নকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চিন্তাতেও ছিল জাতীয় ঐক্য। এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো আমরা।’ তিনি কামাল হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অনেকে চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেউ পারেনি। স্বৈরাচারও চেষ্টা করেছে। আগামীতেও কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। বাঙালিকে কেউ পরাজিত করতে পারেনি। জাতির পিতা সেটা প্রমাণ করেছেন।’
এর আগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মনসুর আহমেদ, সৈয়দ আবুল মকসুদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত হয়েছেন। সভাপতিত্ব করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে