বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গুলশানের জিম্মিদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের ৪০ ঘণ্টা পরও ছাড়া হয়নি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত করিমকে। সবশেষ রোববার রাত পর্যন্ত মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়েই আছেন তিনি।
হাসনাত করিমের চাচা আনোয়ার করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাসনাত সেদিন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে আর্টিসান রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। তাকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। শনিবার তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। রোববার কোনো যোগাযোগ হয়নি। তিনি এখনো ডিবি কার্যালয়েই আছে।
এর আগে শুক্রবার গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জিম্মি করে হত্যার পর কমান্ডো অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানের পর ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে তারা। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের নেয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। তাদের কাছে ভেতরের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে চান ডিবি কর্মকর্তারা। তাদের অনেককে ছেড়ে দেয়া হলেও এখনো ডিবিতেই আছেন হাসনাত করিম।
একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার হাসনাতের আচার-ভঙ্গি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির কোনো কর্মকর্তা মুখ খোলেননি।
এর আগে গুলশানের রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ২০ জন জিম্মিসহ ২ পুলিশকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনীর কমান্ডো ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ড’ এ ৬ বন্দুকধারী নিহত হয়।
জিম্মি ঘটনা চলাকালীন সময়ে পাশের ভবন থেকে এর কিছু অংশ ভিডিও করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক নাগরিক। ফেসবুকে আপলোড করা এই ৫টি ভিডিওতে ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত করিমের চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল বলে ধারণা ডিবির।
প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে হাসনাত চেক গেঞ্জি ও জিন্স পরা এক ব্যক্তিকে একাধিক স্থানে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার করার মতো সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখা যায়। হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টের কাচের তৈরি মূল ফটকটিতে তাকে বেশ কয়েকবার এসে ঘুরে যেতে দেখা যায়। দুই অস্ত্রধারীর সঙ্গে ছাদেও দেখা গেছে তাকে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় গুলশান থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করবে পুলিশ। একটি হত্যা মামলা, অপরটি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হবে। মামলার তদন্তভার দেয়া হবে পুলিশের সদ্য গঠিত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটকে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস