মৌলভীবাজারে জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলছে ভোটগ্রহণ। তবে ইভিএম মেশিন নষ্ট থাকায় ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ফুলতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কক্ষ নং ৪ ও কক্ষ নং ২ এ ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোট দিতে আসা ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
তারা হলেন-আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মাসুক আহমদ, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আলিম সেলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) মো. মোস্তফা মিয়া। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ইমতিয়াজ গফুর মারুফ বলেন, লাইন ধীরে ধীরে লম্বা হচ্ছে। সেই অনুপাতে ভোট কাস্ট হচ্ছে না। এতে করে ভোটারদের মনে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। অনেক ভোটার সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে এখনো ভোট দিতে পারেননি। এজন্য অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে দেখা গেছে, ১ নাম্বার কেন্দ্রের ৪ ও ২ নাম্বার কক্ষে ইভিএম মেশিন নষ্ট থাকায় ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে ভোট দিতে না পেরে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। ভোট দিতে আসা মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
এদিকে দুই নাম্বার কেন্দ্র ফুলতলা বশির উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আড়াই ঘন্টায় সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪ বুথে ১২৮৫ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ২২২ ভোট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সাইস্তা বেগম নামে এক মহিলা ভোটার কক্ষে প্রবেশ করে ইভিএম মেশিন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় মেশিনে ফিঙ্গার দিতে গিয়ে ভয়ে মেশিনসহ পড়ে যান। সাথে সাথে ইভিএম মেশিনের তার ছিড়ে যায়।
ফুলতলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মৃনাল কান্তি দাস বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ইভিএমের দুটি মেশিন নষ্ট থাকায় ভোটগ্রহণে সাময়িক বিলম্ব হয়েছে। কেন্দ্রের ৪ নং কক্ষে ২৬ ভোট ও ২ নং কক্ষে ২৯ ভোট কাস্ট হয়েছে। ৪ বুথ মিলে মোট ১৪৪৪ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১৭২ ভোট। মেশিনের কারিগরি ত্রুটির জন্য উপজেলা থেকে দক্ষ টেকনিশিয়ান আনা হয়েছে। নষ্ট দুটি ইভিএম মেশিন পরিবর্তন করে নতুন দুটি মেশিন বুথে দেওয়া হয়েছে৷ এখন ভোটগ্রহণ চলছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের ১১টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৩৫৬ জন। আমরা টেকনিশিয়ান পাঠিয়েছি, তারা কাজ করছে। শীতের দিন থাকায় ইভিএম মেশিনের গতি কিছুটা কম। তাছাড়া ভোটারদের হাতের সাথে ইভিএম মেশিনের ম্যাচিং হতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই ভোটগ্রহণ কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ