মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
একীভূত হতে পারে সংকটে থাকা ছোট ব্যাংকগুলো: গভর্নর আমরা প্রতিশোধের বিচার করতে চাই না: ড. আসিফ নজরুল ডেঙ্গুতে আজও দুজনের মৃত্যু, নতুন রোগী ৮৬৬ জন অমিত শাহের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ বাংলাদেশের সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করবে না: সাখাওয়াত হোসেন আন্তরিকতার সঙ্গে দেশসেবায় আত্মনিয়োগের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তী সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ আন্দোলনে থাকা সব দলকে নিয়ে জনগণের সরকার গঠনের অঙ্গীকার কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা, সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৬ ২৪০ কেজি চাল আত্মসাৎ করে পদ হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৮৭০ মামলা, জরিমানা ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার সপ্তাহে সাতদিনই বাসে হাফ ভাড়া দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা ‘মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া’ মুকুট জয়ী হলেন রিয়া পার্বত্যবাসীর পক্ষে সারা বাংলাদেশের মানুষ নিবেদিত রয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জে হাসিনা-কাদেরসহ ১৫৮ জনের নামে হত্যা মামলা সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি মঈন উদ্দিন গ্রেপ্তার ১২ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ উপহার হিসেবে যাচ্ছে না, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে জামিন মেলেনি শ্যামল দত্তের, কারাগারে প্রেরণ

একীভূত হতে পারে সংকটে থাকা ছোট ব্যাংকগুলো: গভর্নর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের বেসরকারি খাতের নয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ছোট ব্যাংক আছে; যেগুলো বেশ তারল্য সংকটে পড়েছে। এদের বেশিরভাগই শরিয়া ধারায় পরিচালিত। এসব ছোট ছোট ব্যাংক একীভূত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ইঙ্গিত দেন তিনি।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, তারল্য সংকটে থাকা কিছু ছোট ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগ মালিকানা এখন সরকারের অধীনে। তাই সরকারের ক্ষেত্রে একীভূত করা সহজ হবে। তবে, বাস্তবতা বুঝে আমরা কাজ করব। ব্যাংক একীভূত হলেও আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নয়টি ব্যাংকের অডিট করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছি। আমরা তিনটি করে ব্যাংকের অডিট করব। এ প্রক্রিয়ার শুরুতেই ইসলামী ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত থাকবে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এসব ব্যাংকের প্রতিটি ঋণ অডিট করা হবে এবং সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা হবে।

এ ছাড়া, বর্তমানে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর নিট ডিপোজিট ইতিবাচক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহক টাকা তুলে অন্য ব্যাংকের রাখছে জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, যেসব ব্যাংক থেকে টাকা তোলা হচ্ছে, তারা তারল্য সংকটে পড়ছে। আবার যাদের কাছে রাখা হচ্ছে তাদের তারল্য বেড়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমরা গ্যারান্টার হয়ে তারল্য বেশি থাকা ব্যাংকগুলো থেকে কম থাকা ব্যাংকগুলোকে টাকা দেব। এক্ষেত্রে দুর্বল ব্যাংক টাকা না দিতে পারলে ওই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশোধ করবে। এখন পর্যন্ত এই স্কিম থেকে কাউকেই টাকা দেওয়া হয়নি। যদি এদের অবস্থা ভালো হয়ে যায়, তাহলে কাউকে দিতেও হবে না। প্রয়োজন বোধে দেব। যার যত টাকা দরকার সেই অনুযায়ী টাকা দেওয়া হবে। তবে, এসব ব্যাংকে এখন ক্যাশ-ফ্লো ভালো রয়েছে। গত কয়েকদিনে ব্যাংকগুলোর তারল্য উদ্বৃত্ত আছে ৮১০ কোটি টাকা। আশা করি সমস্যা সমাধান হবে।

বাড়ানো হবে নীতি সুদহার

বাড়তে থাকা খাদ্যপণ্যের তথা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ফের পলিসি রেট বা নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি সপ্তাহে এ সুদহার বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে তা আগামী মাসেও বাড়বে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
 
সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া. গত জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১.৬৬ শতাংশ হয়, যা ২০১০-১১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। গেল অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি ছিল।

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পলিসি রেট বাড়াচ্ছে। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়েছে এবং ঋণ নেওয়া আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।

প্রভাবশালীদের দখল মুক্ত ১১ ব্যাংক

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় আটটি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এস আলম গ্রুপ। এগুলো হলো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। এছাড়া, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল তারা। 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এর মধ্যে এস আল‌মের নিয়ন্ত্রণে থাকা আটটিসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে নতুন করে পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্ষদ পুনর্গঠন করা অন্য তিন ব্যাংক হলো, আইএফআইসি, ইউসিবি ও এক্সিম ব্যাংক। 

এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দখলে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।

এ ছাড়া, এক্সিম ব্যাংকের দখলে ছিলেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও প‌রিচালক‌দের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com