গত ৩২টা বছর তিনি একটা ছোট্ট নির্জন দ্বীপে অনায়াসে কাটিয়ে দিয়েছেন ইতালির নাগরিক মাওরো মোরান্ডি। ঝড়-বৃষ্টি-রোদ সব সামলে নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৯ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন জীবনের সব মোহ, সব ভিড় ত্যাগ করে তিনি থাকবেন নর্থ সারদিনার এক দ্বীপপুঞ্জ। যে দ্বীপপুঞ্জে আছে গোলাপী বালি, সারাদিন বয়ে যায় অজস্র ঢেউ। কেউ কখনও ওখানে যাওয়ার কথা ভাবেই না। নির্জনতা প্রিয় মাওরো নির্জনে থাকার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সেই গোলাপী বালির দ্বীপপুঞ্জকে। একটা ছোট নৌকা নিয়ে একাই পাড়ি দিয়েছিলেন সেখানে। বড় ঢেউয়ের জন্য সেই দ্বীপে যাওয়ার কাজটা মোটেও সহজ ছিল না তার।
সেই দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে তার এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, যিনি সেই দ্বীপ ও পাশের কিছু দ্বীপের পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেন। তিনি ছিলেন কর্মী।কিন্তু তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল, বলে তিনি নিজেই বলেছিলেন, এই দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন।এরপর এতগুলো বছর নিজের জীবনকে ভাসিয়ে দেন সেই নির্জনতায়। দুনিয়া যেমন তার খবর রাখেনি, তিনিও দুনিয়ার খবর রাখেননি। দ্বীপের পরিষ্কার পরিচ্ছনতা বজায় রেখেছেন দারুণভাবে।
অবশেষে তার খোঁজ পাওয়া গেলো এক পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের এক কাজে কিছু কর্মী সেই দ্বীপে যাওয়ার পর। স্থানীয় প্রশাসনই তাকে শহরের বাইরে কিছুটা নির্জন স্থানে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করছে বলে জানা যায়। বাজ ক্যারিবিয়ান।
বাংলা৭১নিউজ/এএম