আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফেসবুক লাইভে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী রাজাকার বলায় ফুঁসে উঠেছে নোয়াখালী। রাতভর অবস্থান কর্মসূচিসহ সমাবেশ ও মিছিল করে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো। দাবি, একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার।
৪ নম্বর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বিচারের দাবিতে সোচ্চার নোয়াখালীবাসী। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাত থেকেই বসুরহাট বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো। কনকনে শীত উপেক্ষা করেই সারারাত একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিল, নোয়াখালীতে অপরাজনীতি, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করছে।
তারা বলেন, আমাদের নেতাকে নিয়ে ফেসবুকে একরামুল করিম চৌধুরী যে কটূক্তি করেছেন, আমরা তার কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এখানে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে নানা অপকর্ম চলছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না, এটা বন্ধ করতে হবে।
সদ্য অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌর নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নোয়াখালীর রাজনীতি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার বক্তব্যে একরামুল করিম চৌধুরীর সমালোচনা করেন। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টা ৩২ মিনিটে ব্যক্তিগত ফেসবুকের লাইভে এসে ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে ভিডিও পোস্ট করেন একরামুল। তবে কিছুক্ষণ পর সে ভিডিও সরিয়ে ফেললেও তার আগেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে