বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী আর মন্ত্রীরা যাই বলুক না কেন সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী মিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘কোন সরকারই শেষ সরকার নয়। আজ না হয় আগামী বছর, আগামী বছর না হয় তার পরের বছর ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। কারণে গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে পরিবর্তন হবেই।’
আজ বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনায় মওদুদ এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করে যুবদল।
গত প্রায় সাড়ে ১০ বছর ধরেই ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এর মধ্যে দুই বছর ছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল। বাকি সময় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনার কথা উঠে আসে প্রায়ই।
তবে মওদুদ বলেন, পরিবর্তন আসবেই। তিনি বলেন ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গণতান্ত্রিক সংস্কৃৃতি ফিরিয়ে আনবো। হারানো মূল্যবোধ ফিরিয়ে দিয়ে নতুন মূল্যবোধ সৃষ্টি করবো।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংলাপের উদ্যোগ নেয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান ফখরুল। এখন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার গঠনে উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন তিনি।
মওদুদ বলেন, ‘এটাকে তত্ত্বাবধায়ক বলেন আর সহায়ক বলেন, যে কোনো একটা হতেই পারে। যাদের রাজনৈতিক কোন অভিলাস থাকবে না। যারা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবেন।’
মওদুদ বলেন, ‘বিএনপি এক বছর ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে। চলমান সংকটের সমাধান শান্তিপূর্ণ না হলে বিএনপির আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না।’ তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করার প্রস্ততি নিচ্ছে। তাদেরকে সেই নির্বাচন আর করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া যাবে না।’
মওদুদ বলেন, ‘এমন নির্বাচন করতে হবে যেন গত বছরগুলোতে যে দু:শাসন হয়েছে এর বিরুদ্ধে জনগণ তাদের রায় দিতে পারে।’
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিতে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এম