বাংলা৭১নিউজ,(নাটোর)প্রতিনিধি: একটি মাত্র মোবাইল ফোনের লোভে খুন করা হয় নাটোর চৌধুরী পাড়ার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর স্ত্রী জাহানারা চৌধুরীকে (৬০)। এ ঘটনায় হত্যাকারী কিশোর সোহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রয়াত মাজেদ খান চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে জাহানার চৌধুলীর অপ্পো ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের প্রতি লোভ ছিল সোহানের। জাহানারা চৌধুরীর দুই ছেলে ঢাকা থাকায় তিনি একাই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ভোরে সোহান ফজরের নামাজের কিছু আগে আক্তার নামীয় একজনের বাড়ির ছাদ বেয়ে নিচে নেমে এসে পুরাতন জানালা ভেঙে জাহানারা বেগমের ঘরে ঢোকে। কিন্তু ফোনটি নেয়ার সময় জাহানারা বেগমের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি সোহানকে ঘরে কেন ও কিভাবে প্রবেশ করেছে বলে চিৎকার করতে থাকলে সোহান ঘরের ভেতরে র্যাকে থাকা ছুরি দিয়ে জাহানারা বেগমের পিঠে আঘাত করে। এ সময় জাহানারা বেগম বাধা দিলে সোহান এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে তাকে। এক পর্যায়ে জাহানারা বেগম নিস্তেজ হয়ে পড়লে সোহান মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জাহানারা চৌধুরীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ঘটনার দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সোহানকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহত জাহানারা বেগমের ছেলে আরমান খান চৌধুরী লুটু বাদী হয়ে সোহানসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার সোহানকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে সে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সোহান (১৬) শহরের কান্দিভিটা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে