জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা। তিনি যা বলবেন সেটাই আইন। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না। এভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা হয় না। এটাই এখন রাজনৈতিক বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অনেক মিথ্যাচার করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে যারা অন্যায়ভাবে স্বৈরাচার উপাধি দিয়েছেন, তারাই ১৯৯০ সালের পর সংবিধানে কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বার বার সংবিধান সংশোধন করে দেশে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।’
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ‘ছোটদের পল্লীবন্ধু’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দলের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের আহ্বায়ক সুনীল শুভরায় এতে সভাপতিত্ব করেন।
জিএম কাদের বলেন, ১৯৯০ সালে এক কোটি ৯০ লাখ টাকার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দণ্ডিত হয়েছিলেন। পরে আদালতই রায় দিয়েছেন ওই টাকা জাতীয় পার্টির দলীয় টাকা। সেই টাকা জাতীয় পার্টিকে ফেরত দিতে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্ষমতায় বসে দুর্নীতি করেছে। প্রতিপক্ষের নামে দুর্নীতির মামলা দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় গিয়ে সেই মামলা তুলে ফেলেছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে দুর্নীতির যে মামলাগুলো হয়েছিল, ক্ষমতায় এসে তারা সেই মামলা তুলে ফেলেছে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পেরে তাদের নামে থাকা মামলাগুলো তুলতে পারেনি।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ