অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ঋণের সুদ মিলিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আগামী অর্থবছরের জন্য সুদ বাবদ সরকারের ব্যয় হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশি অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদই বেশি। এর পরিমাণ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুদ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে এক লাখ পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি টাকা করা হয়। সংশোধিত বাজেটকে ভিত্তি ধরলে সুদ ব্যয়ের বরাদ্দ সাত হাজার কোটি টাকা বাড়ছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ বাবদ বরাদ্দ করা এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হলো মোট বাজেটের ১৪.২৪ শতাংশ।
গত এক দশকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত পাঁচ বছরে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ যত অর্থ রাখা হয়েছিল, ১০ মাসেই সেই বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। তবে ডলারের দাম ও সুদের হার বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে সুদের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম