বাংলা৭১নিউজ,(মাগুরা)প্রতিনিধি: খালা জেসমিন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আল আমিনকে ইজিবাইকটি কিনে দেন। মাত্র ৪ কিস্তির টাকা পরিশোধ হয়েছে। গুনতে হবে আরও ৪৮ সপ্তাহের টাকা। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার রাতে আল আমিনকে গলা কেটে হত্যার পর ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নেয়া হয়।
মাগুরার চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।
পুলিশের হাতে আটক সদর উপজেলার ঘোড়ানাছ গ্রামের নুরুল হক মোল্লার ছেলে মো. শরিফুল মোল্লা (২০), জগদল গ্রামের বসির খানের ছেলে মো. মানজাল খান (১৮) ও মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফজাল মণ্ডলের ছেলে সুমন হোসেন মণ্ডল (২১) এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি। খোঁজ মিলেছে চুরি যাওয়া ইজিবাইকটিরও।
সদর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাগুরা পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, বুধবার সকালে সদর উপজেলার কুকিলা গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে বেঙ্গাবেরল গ্রামের মৃত হাসানের ছেলে আল আমিনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুতে ওই সময় থেকেই একই উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে নানা লিয়াকত আলীর বাড়িতে থাকতো আল আমিন।
পুলিশ সুপার জানান, আল আমিনের কাছ থেকে ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিতেই তাকে খুন করা হয়। যার মূল পরিকল্পনাকারী হলো শরিফুল ইসলাম। সে থাকতো আল আমিনের নানাবাড়ি মহিষাডাঙ্গা গ্রামেই শ্বশুরবাড়িতে। যেখানে আল আমিনের কাছে নতুন ইজিবাইকটি দেখে লোভ হয় শরিফুলের। সেটি নিজের করে নিতে পরিকল্পনা আঁটে সে। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সঙ্গে নেয় একই ওই গ্রামের সুমন মণ্ডল, জগদল গ্রামের মানজাল খান এবং অপর একজনকে।
এ ঘটনায় নিহত আল আমিনের মা তৃষ্ণা খাতুন বাদী হয়ে বুধবার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান এসপি।
বাংলা৭১নিউজ/এফএইচ