শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাতিরঝিলের পানি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ইট-পাথরে আর কংক্রিটে ঘেরা যান্ত্রিক জীবনে একটু বুকভরে নিশ্বাস নিতে প্রতিদিনই মানুষ আসে হাতিরঝিলে। যানজটের জালে বন্দী রাজধানীবাসীর জন্য পরিবহনব্যবস্থায় হাতিরঝিলে যুক্ত হওয়া নতুন বাহন ওয়াটার ট্যাক্সিতেও প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। তবে এই মানুষগুলো ইদানীং পড়েছেন সীমাহীন বিড়ম্বনায় আর বিপাকে। কারণ হাতিরঝিলের পানিতে থেকে ভেসে আসছে তীব্র দুর্গন্ধ।

রাজধানীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হয়ে ওঠা হাতিরঝিলের পানি ফিরে যাচ্ছে তার পুরনো রূপে। উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে এখন এই পানিতে। দুর্গন্ধে লেকের পানিতে বোটিং কিংবা পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়ানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে। নগরবাসীর নির্মল শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার এ মুক্ত বিনোদনকেন্দ্রের পানি দূষিত হয়ে ওঠায় হতাশ এই পথে চলালককারীরা। বর্তমানে এই দুর্গন্ধ এতই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, নাকে রুমাল চাপা ছাড়া কেউই ওয়াটার ট্যাক্সিতে চলাচল করতে পারছেন না।

Jhil-2

জানা গেছে, মহাখালী, পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান, নিকেতন, রামপুরা, বাড্ডা, তেজগাঁও, মগবাজার, বেগুনবাড়ী, মধুবাগ এলাকার ১৩টি পথ দিয়ে পানি আসে হাতিরঝিলে। এই পানির অধিকাংশ থাকে পয়োবর্জ্য মিশ্রিত। এ সমস্যা সমাধানের জন্য হাতিরঝিলে পানি নামার ৯টি পথে বর্জ্যশোধনের যন্ত্র বসানো হয়েছিল কিন্তু ইতোমধ্যেই কয়েকটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আর পানির চাপ বেশি থাকলে এই যন্ত্রগুলো কাজ করে না। ফলে হাতিরঝিলের পানি থেকে উৎকট দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। ড্রেন দিয়ে আশপাশে এলাকার পচা আবর্জনা ঝিলে প্রবেশ করে নষ্ট করছে পানির স্বচ্ছতা। এ পানি অনেক দিন ঝিলে আটকে থাকায় ক্রমেই পানির রঙ কালো, সবুজ, ধূসর রঙ ধারণ করেছে। যে কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র দুর্গন্ধের।

হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সহজে যাতায়াত করতে হাতিরঝিলে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’ সার্ভিসটি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পায়। হাতিরঝিলে চারটি স্থান থেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করে। গুলশান-১ গুদারাঘাট, এফডিসি মোড়, রামপুরা ব্রিজ ও পুলিশ প্লাজা থেকে চলাচল করে ওয়াটার ট্যাক্সি। এসব স্থান থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু হাতিরঝিলের পানিতে তীব্র দুর্গন্ধের কারণে এসব যাত্রীদের কাছে দুর্গন্ধের বিড়ম্বনা প্রকোপ আকার ধারণ করেছে।

গুলশান-১ সংলগ্ন গুদারাঘাট থেকে ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে প্রতিদিন এফডিসি-সংলগ্ন ঘাট পর্যন্ত চলাচল করেন শরিফ আহমেদ নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘আমার বাসা বাড্ডা আর অফিস কারওয়ান বাজার, যে কারণে প্রতিদিনই ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে চলাচল করি।’ তিনি বলেন, ‘যানজটহীনতার কারণে সবার কাছেই জনপ্রিয় ওয়াটার ট্যাক্সির রুটগুলো। তবে ইদানীং হাতিরঝিলে পানিতে এতটাই তীব্র দুর্গন্ধ যে, রুমাল দিয়ে নাক ঢেকে চলাচল করতে হয়।’

ওয়াটার ট্যাক্সির একজন চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পুরো হাতিরঝিলের পানিতে এখন দুর্গন্ধ। রঙ-ও কালচে হয়ে গেছে। এর মধ্যে দিয়ে যখন ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করে তখন ইঞ্জিনের কারণে সৃষ্ট ঢেউয়ে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তখন দুর্গন্ধের কারণে যাত্রীদের ওয়াটার ট্যাক্সিতে বসে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। সবাই ওয়াটার ট্যাক্সিতে নাক চেপে ধরে হাতিরঝিল পার হন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের যাত্রী কমে যাবে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।’

জানা গেছে, হাতিরঝিলের পানিতে দুর্গন্ধ সমস্যা সমাধানের জন্য পানি পরিশোধনের একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় পানিশোধনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হাই-ক্যাপাসিটি এয়ার কম্প্রেসর স্থাপনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। দূষণের প্রধান উৎস পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে আসা পয়োবর্জ্য যাতে ঝিলে ছড়িয়ে না পড়ে, সে ব্যবস্থা করা হবে। প্রায় ৪৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি আগামী বছরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

হাতিরঝিলে পানিতে দুর্গন্ধ বিষয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক (রাজউক) এস এম রায়হানুল ফেরদৌস  বলেন, ‘হাতিরঝিলের পানিতে দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির জন্য বেশ কিছু যন্ত্রপাতি অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করতে হবে। এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় হাতিরঝিলের পানিতে আর কোনো দুর্গন্ধ থাকবে না।

বাংলা৭১নিউজ/এলএ.বি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com