বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশে মানসিক রোগে আক্রান্ত প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মাত্র ৮১৩টি শয্যা রয়েছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেই পৃথক কোনো সেবাকেন্দ্র। হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ রোগের চিকিসা নির্ভরশীল।
এছাড়া এ রোগে চিকিৎসার জন্য দেশে মাত্র ১৯৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসকের সংখ্যা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মানসিক রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা সেবা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হচ্ছে।
আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
সিআইডিআইপি, বিএইচএসডব্লিউএ ও ডব্লিউএইচও হেলদি সাইটিস ফর ফোরাম যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ, বিএইচএসডব্লিউএ-এর উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, রাষ্ট্র মনোবিজ্ঞানী তপন কুমার নাথ প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়, ১৯৫ চিকিৎসকের মধ্যে ১০০ জন ঢাকায় থাকেন। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। সরকারি পর্যায়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের কয়েকটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সীমিত পরিসরে মানসিক রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে রোগী ভর্তির রোগী ভর্তির জন্য শয্যা রয়েছে ৮১৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের অভিমত মানসিক রোগ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার এবং সামাজিক কারণে অসুস্থতার চেয়ে সমাজেই আক্রান্তদের বেশি নিগৃহীত করে। ভ্রান্ত ধারণা বর্জন করে সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস