আওয়ামী লীগ নেতা সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আসনটি শূণ্য হওয়া এ আসনে লড়তে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫৬ জন। এদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন ওয়ার্ড থেকে মহানগর পর্যায়ের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বাকিরা, ব্যবসায়ী ও সাবেক আমলা।
উত্তরা, তুরাগ, বিমানবন্দর ও খিলক্ষেত এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা ১৮ আসন। অথচ এখানকার নাগরিকরা আট দশজনের বেশি প্রার্থীকে চেনেন না এমনকি নামও শোনেননি কখনোই। অথচ আওয়ামী লীগের এমপি হতে তাদের পোস্টার ব্যানারে সয়লাব পুরো নির্বাচনী এলাকা।
তৃণমূলে থেকে থানা মহানগরে রাজনীতি করেন এমন নেতারা বলছেন, উন্মুক্তভাবে মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি হওয়ায় দলে অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডদের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর বিষয়টি অনেকটা বিব্রতকরও।
আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রার্থীতার ক্ষেত্রে যে একটা উদ্ভট পরিস্থিতি হয়েছে তাতে আমরা বিব্রত।
তবে দলীয় নীতি নির্ধারকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শকে বিশ্বাস করেন এমন যে কেউ মনোনয়ন ফর্ম নিতে পারবেন।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা পান, তাদের মূল্যায়ন করবে সরকার।
তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় ঢাকা ১৮ আসনে এখনো প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেনি আওয়ামী লীগ।