বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: উন্নয়নের নামে দেশের নদী-খাল-বিল ভরাট না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বলেন, উন্নয়নের নামে পুকুর-খাল ভরাট করা যাবে না। শিল্প-কারখার জন্য অনেক সময় ভরাটের প্রয়োজন হলেও বিকল্প জলাধার সৃষ্টি করতে হবে।
সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে ৮৪ ভাগ মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানির জন্য জনসচেতনতার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশুদ্ধ পানি কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গঙ্গার ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
‘আমাদের খেয়াল রাখতে হবে পানির ব্যবহারে যেন অপচয় না হয়। পানি ব্যবহারে যাতে মিতব্যয়ী হওয়া যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’
নদীগুলোকে রক্ষা করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড্রেজিং করার সময় খেয়াল রাখতে হবে বন্যার পানির জন্য বাঁধ দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, আমাদের আরও জায়গা লাগবে। ডুবোচরগুলো যেন আমরা ব্যবহার করতে পারি সেটা মাথায় রাখতে হবে।
ঢাকার পুকুরগুলোয় দালানকোঠা উঠেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুভার্গ্যজনক পুকুরের মধ্যে দালানকোঠা উঠে গেছে। পুকুরগুলো রাখা দরকার ছিল। খেয়াল করে দেখবেন পুকুর পাড়ের বাতাস অনেক ঠাণ্ডা থাকে। এই পুকুরগুলোয় বৃষ্টির পানি জমা হয়। আমাদের ভূখণ্ড ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। ভূগর্ভস্থ স্তর থেকে পানি যত তোলা হবে পানির স্তর তত ফাঁক হয়ে যাবে। ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি আমাদেরই হবে।
সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীপথে স্টিমার-লঞ্চ চলাচল করে। খাওয়া-দাওয়ার পর বর্জ্য সব নদীতে ফেলা হচ্ছে। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস