বাংলা৭১নিউজ,(বরিশাল)প্রতিনিধি:নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ইকোনমিক জোন কিংবা অন্য কোনো উন্নয়নের কথা বলে নদী দখল করা যাবে না। ব্যবসায়িক স্থাপনাকে ঘিরে যদি কেউ নদী দখল করতে চায়, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঢাকা-বরিশাল নৌপথের চাঁদপুর লক্ষ্মীরচর-আলুরবাজার-ঈশানবালা-হিজলা-উলানিয়া-মিয়ারচর নৌপথ পরিদর্শনকালে শনিবার তিনি একথা বলেন।তুরাগ নদীর তীর দখল করে আরিশা পাওয়ার প্ল্যান্টের স্থাপনা নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমরা নদীর অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করছি।
এক্ষেত্রে পাওয়ার প্ল্যান্টের কোনো সম্পর্ক নেই।খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়িক স্থাপনাকে ঘিরে যদি কেউ নদী দখল করতে চায়, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। পাওয়ার প্ল্যান্ট পাওয়ার প্ল্যান্টের জায়গায়, ইকোনমিক জোন ইকোনমিক জোনের জায়গায়। কিন্তু যখন এটা নদীর জায়গায় আসবে তখনই সমস্যা। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।তিনি বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ৮ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
অতিরিক্ত স্রোত ও পলি জমে যাওয়ার কারণে নদী ভরাটের কারণে নৌপথগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে বরিশাল রুটের মিয়ার চরের নৌপথও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আমাদের ইলিশা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেই অবস্থায় আলু বাজার থেকে হিজলা হয়ে নৌপথ হয় কিনা, সেটা নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে দুটি সভা করেছি। সেখানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের হাইড্রোগ্রাফার ও প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। নৌ-প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কীভাবে ড্রেজিং করলে নৌ চলাচল করতে পারবে। এজন্য আজ (শনিবার) সরেজমিনে পরিদর্শনে এলাম। আমরা সর্বশেষ সার্ভে রিপোর্টে আশ্বস্ত হয়েছি, আগে যেসব ছোট ছোট লিংক নৌপথ আছে সেগুলো সচল করলে নৌচলাচল করতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি