বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: তীব্র শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন। ছিন্নমূল আর অসহায় মানুষের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়ছে সবজির ক্ষেত ও প্রাণীকূল। আবাহওয়া অফিস বলছে, এবার শীতের দাপট অনেক বেশি, যা আরও বাড়বে। আর বিশেষজ্ঞদের মত, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই প্রকৃতির এমন বৈরি আচরণ।
ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আবার কখনও বৃষ্টি। গত কয়েকদিনের এমন আবাহওয়ায় নাজেহাল উত্তরাঞ্চলের জনজীবন।
হিম ঠাণ্ডায় বেশি ভোগান্তিতে ছিন্নমূল আর নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় ক্ষতির মুখে পড়ছে ধান-সবজির ক্ষেত।
সাধারণ মানুষ বলছেন, আমার ৬০বছর বয়সে এমন ঠান্ডা কখনই দেখি নাই। আমাদের শীতের অতো কাপরও নেই, তাই ঠান্ডায় কাজ করা যায় না ঠিক মত। ফসলও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কুয়াশার কারণে।
নওগাঁ সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যার সহাকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, জলবায়ু আমাদের উপরে প্রতিশোধ নিচ্ছে। এই প্রতিশোধ নিতে গিয়েই আমরা দেখছি যে আমাদের গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যাচ্ছে, ঠিক একইভাবে শীতকালেও তাপমাত্রা কমে আসছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বিগত বছরে এসময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকলেও, এবছর তাপমাত্রা থাকছে এর অনেক নিচে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র অবজারভার গাউসুজ্জামান বলেন, আকাশে মেঘ নেই। মেঘ থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন রাতে ঠিকি বাতাস বয়ে যায়। যার ফলে আমাদের ঠান্ডা পরার প্রবণতাও বেড়ে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ফসল রক্ষায় নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। নিয়ামতপুরের কৃষি কর্মকর্তা আমীর আবদুল্লাহ বলেন, কুয়াশাছন্ন আবহাওয়া থাকলে ডায়াথিনিম ৪৫ এন্ড ইন্ডোফিল এই ওষুধগুলো যদি আমরা ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করি তাহলে ফাঙ্গাস জাতীয় রোগগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান বলছেন, বয়স্ক ও শিশুদের সুস্থ রাখতে বাড়তি সতর্কতার বিকল্প নেই।
জানুয়ারিতেই আরও দুই-তিনটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে, আবাহাওয়া অফিস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএইচ