উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘তিস্তা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট’। দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্পটি চালু হলে এ অঞ্চলে ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
তিস্তা নদীর এপারে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং পাশেই রংপুরের পীরগাছা আর ওপারে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা। এ তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির অবস্থান। অতীতে যেখানে যেতে সাহস পেতেন না অনেকেই, ফলতো না কোনো ফসল। এখন সেখানে যাতায়াতে তৈরি হয়েছে সড়কও। কাজের সুবিধার্থে ও প্রকল্পের তদারকির জন্য ভেতরে আছে কয়েকটি ছোট ছোট রাস্তা।
স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে প্রায় ২ সহস্রাধিক লোকের। এরই মধ্যে স্থায়ী বাসিন্দাদের জীবনমান পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। স্থাপিত হয়েছে মসজিদ ও মাদরাসা। এলাকার মৃত মানুষের সমাধিস্থ করতে কর্তৃপক্ষের অনুদানে করা হয়েছে একটি কবরস্থানও। এছাড়া অনুদান দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে ওই দুর্গম চরে পরিত্যক্ত প্রায় ৬০০ একর জায়গায় ‘তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার কাজটি পায় বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮৫টি মাউন্টিং পাইলস। যার ওপরে বসানো হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার সৌর প্যানেল। সারি সারি সাজানো সৌর প্যানেলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেবে যে কারও।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব সৌর প্যানেল থেকে ১২০টি ইনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এজন্য ২৮টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ স্থাপন, সাবস্টেশনসহ ১২০ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ এবং জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে রংপুর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইন। এ লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে।
তিস্তা নদীর তীরের লাটশালা ও চরখোদ্দা গ্রামের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ের দিকে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে উদ্বোধনের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প এডমিন মো. ইউনুছ আলী বলেন, ‘প্রকল্পটি উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি মাইলফলক। এটি দেশের মধ্যে বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ রংপুর বিভাগের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও কৃষিখাতের উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. সিফাত আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রথমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সেখান থেকে বিপিডিবি কিছু নেবে। এরপর হয়তো আমরাও কিছু নেবো। এতে প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক উপকৃত হতে পারে।’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘তিস্তা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে তা হবে রংপুর বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক। এটি রংপুর থেকেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তখন আমাদের আর যমুনার ওপার থেকে বিদ্যুৎ আনতে হবে না। প্রকল্পটি চালু হলে বিদ্যুতের ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি তা উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
উত্তরাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ‘তিস্তা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট’। দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্পটি চালু হলে এ অঞ্চলে ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
তিস্তা নদীর এপারে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং পাশেই রংপুরের পীরগাছা আর ওপারে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা। এ তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির অবস্থান। অতীতে যেখানে যেতে সাহস পেতেন না অনেকেই, ফলতো না কোনো ফসল। এখন সেখানে যাতায়াতে তৈরি হয়েছে সড়কও। কাজের সুবিধার্থে ও প্রকল্পের তদারকির জন্য ভেতরে আছে কয়েকটি ছোট ছোট রাস্তা।
স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে প্রায় ২ সহস্রাধিক লোকের। এরই মধ্যে স্থায়ী বাসিন্দাদের জীবনমান পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। স্থাপিত হয়েছে মসজিদ ও মাদরাসা। এলাকার মৃত মানুষের সমাধিস্থ করতে কর্তৃপক্ষের অনুদানে করা হয়েছে একটি কবরস্থানও। এছাড়া অনুদান দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে ওই দুর্গম চরে পরিত্যক্ত প্রায় ৬০০ একর জায়গায় ‘তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার কাজটি পায় বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮৫টি মাউন্টিং পাইলস। যার ওপরে বসানো হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার সৌর প্যানেল। সারি সারি সাজানো সৌর প্যানেলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেবে যে কারও।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব সৌর প্যানেল থেকে ১২০টি ইনভার্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এজন্য ২৮টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ স্থাপন, সাবস্টেশনসহ ১২০ কেভিএ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ এবং জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তির জন্য তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে রংপুর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইন। এ লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে।
তিস্তা নদীর তীরের লাটশালা ও চরখোদ্দা গ্রামের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ের দিকে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে উদ্বোধনের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প এডমিন মো. ইউনুছ আলী বলেন, ‘প্রকল্পটি উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি মাইলফলক। এটি দেশের মধ্যে বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ রংপুর বিভাগের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও কৃষিখাতের উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. সিফাত আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘তিস্তা পাওয়ার প্ল্যান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রথমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সেখান থেকে বিপিডিবি কিছু নেবে। এরপর হয়তো আমরাও কিছু নেবো। এতে প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক উপকৃত হতে পারে।’
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘তিস্তা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে তা হবে রংপুর বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক। এটি রংপুর থেকেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। তখন আমাদের আর যমুনার ওপার থেকে বিদ্যুৎ আনতে হবে না। প্রকল্পটি চালু হলে বিদ্যুতের ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি তা উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ