বাংলা৭১নিউজ, সৈয়দ নাজমুল ইসলাম, উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি: উজিরপুর উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে লোক সংখ্যা ২,৩৪,৯৫৯ জন। ৯টি ইউনিয়নে রয়েছে ৯টি উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র। কেন্দ্রগুলোর প্রত্যেকটিতে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একজন করে মেডিকেল অফিসার মঞ্জুরকৃত থাকলেও দীর্ঘ্যদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে কোন চিকিৎসক না থাকায় গ্রামের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার পূর্ব শেষ প্রান্তে হওয়ায় ৮ ইউনিয়ন থেকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসানিতে আসার ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে থাকেন।
উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সাতলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৪টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার, র্ফামাসিষ্ট ও অফিস সহায়ক) ৩টি পদ দীর্ঘৃদিন ধরে শুন্য। এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধিনে জনসংখ্যা-২৭,০৭৩ জন। হারতা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার ও এস.এ.সি.এম.ও) ২টি পদই শুন্য, এখানে জনসংখ্যা সংখ্যা-২২,৯৯৭ জন। জল্লা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার ও এস.এ.সি.এম.ও) ২টি পদই শুন্য, এখানকার জনসংখ্যা-২৪,৪৪২ জন। মশাং উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৪টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিষ্ট) ২টি পদ শুন্য, জনসংখ্যা- ২৫,০৭১ জন। আটিপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৪টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার ‘সংযুক্তি ঢাকা মেডিকেল, এস.এ.সি.এম.ও, ফার্মাসিষ্ট) ৩টি পদই শুন্য, এখানে জনসংখ্যা- ২৭,৬০৮ জন। চথলবাড়ী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৪টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার,র্ফামাসিষ্ট ও অফিস সহায়ক) ৩টি পদ শুন্য, জনসংখ্যা-২৬,১৩৬ জন। শিকারপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ৪টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার, র্ফামাসিষ্ট ও অফিস সহায়ক) ৩টি পদ শুন্য, জনসংখ্যা- ২৮,৯৭২ জন। শোলক উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার ও এস.এ.সি.এম.ও) ২টি পদই শুন্য, জনসংখ্যা- ২৭,৭৮৯ জন। গুঠিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২টি পদের মধ্যে (মেডিকেল অফিসার- সংযুক্তি শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) ১টি পদ শুন্য, জনসংখ্যা-২৪,৮৭১ জন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা মোঃ শামছউদ্দিন আহমেদ এপ্রতিবেদককে বলেন, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৯টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৯ জন মেডিকেল অফিসারের পদ রয়েছে। সেখানে ২টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাঃ সানজিদা খান ও ডাঃ শ্রাবন্তী মালা নিয়োগ থাকলেও তারা থাকেন ঢাকায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের ক্ষমতা আছে তাদের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। তারা এখান থেকে বেতন ও সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন আর অবস্থান করছেন পছন্দ মত স্থানে। চিকিৎসকদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গরীব অসহায় শত-শত মানুষ। মোবাইল ফোনে ডাঃ সানজিদা খানকে অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ডাঃ শ্রাবন্তী মালাকে পাওয়া গেলে তিনি বলেন, সরকার আমাকে প্রশিক্ষনের জন্য সংযুক্তি ঢাকায় বদলি করেছে।
এবিষয় স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন কমিটিরসহ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান ইকবাল বলেন, ৯ জন চিকিৎসকের যায়গায় ২ জন চিকিৎসক নিয়োগ আছে, তারাও আবার নিজ কর্মস্থলে চিকিৎসা না দিয়ে অতিরিক্ত আয়ের জন্য কার অনুমতিতে এলাকা ছেড়েছেন জানিনা। আমি বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে যাতে শুণ্যপদগেুলো পুরণ করায় যায় সে ব্যাবস্থা নেব।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস