বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: উচ্চবিত্তের সন্তানরা বেহেস্তের হুরপরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, যাদের জীবনের কোনো চাহিদা অপূর্ণ নয়, সমাজের সেই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা কেন সন্ত্রাসবাদের পথে পা বাড়াচ্ছে, কোন মানসিক অবস্থায় পড়ে তারা খুন-খারাবিতে জড়িয়ে পড়ছে তা খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে সমাজের এই এলিট শ্রেণির অংশগ্রহণ বাংলাদেশের প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিয়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা এগুলি করছে, তারা ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করছে। তারা এখন বেহেস্তের হুরপরি পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা কোন ধরনের অদ্ভূত একটা চিন্তা-ভাবনা!’
প্রধানমন্ত্রীর আজকের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দেয় তাহলে সেটি দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় সবার দৃষ্টি থাকত, দরিদ্র পরিবার অথবা মাদ্রাসাছাত্র তারাই বুঝি সন্ত্রাস করছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান, হাইফাই ফ্যামিলি যারা ভালো খায়, ভালো পরে, ভালোভাবে চলে। একেবারে যাদের জীবনের সব চাহিদাই পূর্ণ হচ্ছে। কোনো চাহিদা অপূর্ণ না। সব চাহিদা পূর্ণ করার পর তারা আর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে এখন খুন-খারাবিতে নেমে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
‘বাংলাদেশে যারা এগুলি করছে, তারা ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করছে। তারা এখন বেহেস্তের হুরপরি পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটা কোন ধরনের অদ্ভূত একটা চিন্তা-ভাবনা। এর আসলে কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না আমি। এখানে কী করে তারা আসল। কারা তাদের পিছন থেকে উসকাচ্ছে, মদদ দিচ্ছে?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব, আপনারা খুঁজে বের করেন, আসলে তাদের সাইকোলজিটা কী? তাদের জীবনের যেখানে কোনোকিছুই অপূরণীয় থাকে না, তারপরও তারা কেন এই পথ বেছে নেয়। একেবারে বেহেস্তের দরজা নাকি ফটাফট খুলে যাবে। মানুষ খুন করলে বেহেস্তের দরজা খুলে না।’
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস