বাংলা৭১নিউজ,(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে শুক্রবার (১৫ মে) শনাক্ত হওয়া তিন রোগীর মধ্যে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী নন। তিনি একজন এনজিও কর্মী, বাংলাদেশি নাগরিক। ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ইপসা’র ফিল্ড ফ্যাসিলেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ১৭ নাম্বার ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ৮ দিন ধরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ওই এনজিও কর্মী নিজেই মোবাইলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ইতোপূর্বে এনজিও ‘ইপসা’র একজন কর্মকর্তার করোনা পজিটিভ হয়েছে। ওই ঘটনার পর অন্য সকলের মতো তিনিও উখিয়ার থাইনখালী এলাকায় ভাড়া বাসায় তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
তবে শরীরে করোনাভাইরাসের কোন ধরণের উপসর্গ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি ধারণা করছেন, ‘ইপসা’র কোটবাজার অফিসে ওই কর্মরত শাহেদ নামের ওই কর্মকর্তার সংস্পর্শে এসে হয়তো তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ওই যুবক জানান, তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) গয়ালমারা মাদার এন্ড চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে স্যাম্পল জমা দিয়েছিলেন। করোনার কোন উপসর্গ না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা নিতেই চায়নি। অথচ নমুনা পরীক্ষার পর জানতে পারলেন তিনি পজিটিভ।
তার সাথে উখিয়া উপজেলা থেকে চিকিৎসকরা যোগাযোগ করেছেন। তিনি ধারণা করছেন, তাকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রোহিঙ্গা শিবির থেকে শনাক্ত তিনজন রোগীর মধ্যে দুইজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাদের মধ্যে একজন মহিলা ও অন্যজন পুরুষ। ৩০ বছর বয়সী পুরুষটি উখিয়ার কুতুপালং এলাকার ‘টু ডব্লিউ ডি ফোর’ ক্যাম্পের বাসিন্দা। মহিলা রোহিঙ্গাটির বয়স ৪২ বছর। তিনি থাকেন ‘পি২-৫’ ক্যাম্পে।
এ নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে তিনজন রোহিঙ্গার শরীরে করোনার অস্থিত্ব পাওয়া গেল।
বাংলা৭১নিউজ/এবি