বাংলা৭১নিউজ,খেলাধুলা ডেস্ক: কদিন বাদে উইন্ডিজ সফরে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই সফরের জন্য সম্প্রতি দল ঘোষণা করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন চার নতুন মুখ। এদের মধ্যে আছেন মাহেলা উদাওয়াত্তে। ২০০৮ সালে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। খেলেছেন টি-টোয়েন্টিও। কিন্তু টেস্ট দলে আসতে তাকে অপেক্ষা করতে হলো পাক্কা ১০ বছর।
মাহেলা উদাওয়াত্তের সঙ্গে নতুন মুখ হিসেবে ডাক পেয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা ও জেফরি ভান্ডারসে। এরা তিনজনই বোলার। আসিথা ও রাজিথা মিডিয়াম পেসার আর ভান্ডারসে স্পিনার। ইনজুরিতে পড়া দুশমন্থ চামিরা ও নুয়ান প্রদিপের বদলে জায়গা পেয়েছেন আসিথ ও রাজিথা। ভান্ডারসে সুযোগ পেয়েছেন লক্ষণ সান্দাকানের বদলে।
মাহেলা উদাওয়াত্তে ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে পারফর্মের পুরস্কার পেলেন। দিমুথ করুনারত্নের ইনজুরি খুলে দিয়েছে তার পথ। ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করার পর লঙ্কান টেস্ট দলে ডাক পেলেন তিনি। ১০ বছর আগে পোর্ট অব স্পেনে ওয়ানডে অভিষেক হয় উদাওয়াত্তের। একই মাঠে এবার টেস্ট অভিষেক হতে পারে তার।
ঘরোয়া পর্যায়ের সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০-এর উপর গড়ে রান করেছেন উদাওয়াত্তে। লিস্ট-এতে তার ব্যাট ছিলো আরো বেশি নির্ভরতার প্রতীক। সেখানে তিনি ৬৫-এর উপর গড়ে রান করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের এমন রানবন্যাই খুলে দেয় তার জাতীয় দলের দরজা।
যার বদলে উদাওয়াত্তে দলে জায়গা পেলেন, সেই দিমুথ করুনারত্নের গত বছরটা ছিলো দুর্দান্ত। গত ক্যালেন্ডার বর্ষে ১০০০ রান করেন তিনি, ২০১৪ সালে যা করেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলা করুনারত্নের ইনজুরি নিঃসন্দে লঙ্কানদের জন্য দুর্ভাগ্যের কারণ হতে পারে।
ঘোষিত দলে রাখা হয়েছে ফিটনেস নিয়ে জটিলতা ভোগা অ্যাঞ্জিলো ম্যাথুসকেও। দেশ ছাড়ার আগে তার ফিটনেস নেয়া হবে। সেখানে যদি তিনি ইতিবাচক ফল করতে পারেন, তবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজগামী দলে জায়গা হবে তার। একই কথা প্রযোজ্য সুরঙ্গ লাকমালের ক্ষেত্রেও।
উইন্ডিজ সফরের লঙ্কান স্কোয়াড: দিনেশ চান্দিমাল (অধিনায়ক), মাহেলা উদাওয়াত্তে, কুসাল মেন্ডিস, কুসাল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, রোশেন সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (ফিটনেস পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল), নিরোশান দিকবেলা, রঙ্গনা হেরাথ, দিলুরুয়ান পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, জেফরি ভান্ডারসে, লাহিরু গামাগে, কাসুন রাজিথা, সুরাঙ্গা লাকমাল (ফিটনেস পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল), লাহিরু কুমারা এবং আসিথা ফার্নান্দো।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ