শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মার্টিনেজের নৈপুণ্যে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে পদ্মা পাড়ে উৎসবের আমেজ সকালে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৫ ইরানে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জিতলেন টিউলিপ সিদ্দিক এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী কেন গেলেন না? ব্রিটেনের নির্বাচন: লেবার পার্টির বিশাল জয়, সুনাকের পরাজয় প্রধানমন্ত্রীর সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উত্তীর্ণ হবে ৬ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ প্রার্থী শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮১তম সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ৯ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ফেনীতে বেড়িবাঁধের ১০ স্থানে ভাঙন, ৪৬ গ্রাম প্লাবিত জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন বসুন্ধরা চেয়ারম্যান বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খালেদার মুক্তি আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি বিএনপি ভাতিজির বিয়েতে যাচ্ছিলেন এসআই, রাস্তায় ফেলে কোপাল দুর্বৃত্তরা কোটা আন্দোলনের কারণে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট বিএনপি-জামায়াত বৃক্ষ ধ্বংস করে আর আওয়ামী লীগ রক্ষা করে : নিখিল

ঈমানের ওপর অবিচল থাকার উপায়

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ইসলাম যেকোনো পরিস্থিতিতে হকের ওপর অবিচল থাকার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। কারণ মহান আল্লাহ মুমিন বান্দাদের যেকোনো পরিস্থিতিতে হকের ওপর অবিচল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং অবিশ্বাসীদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে একনিষ্ঠভাবে দ্বিন পালন ও প্রচার অব্যাহত রাখার আদেশ করেছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের কাছে জ্ঞান আসার পর শুধু পারস্পরিক বিদ্বেষবশত তারা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ঘটায়।

এক নির্ধারিতকাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার রবের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের বিষয়ে ফায়সালা হয়ে যেত। তাদের পর যারা কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়েছে তারা কোরআন সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে। এ কারণে তুমি আহ্বান করো এবং অবিচল থাকো যেমন তুমি আদিষ্ট হয়েছ। আর তুমি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কোরো না এবং বলো, ‘আল্লাহ যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন আমি তাতে ঈমান এনেছি এবং তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের রব এবং তোমাদের রব। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোনো বিবাদ-বিসংবাদ নেই; আল্লাহ আমাদের একত্র করবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে। ’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ১৪-১৫)

উপরোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ নবীজি (সা.)-কে উদ্দেশ করে দ্বিনের ওপর অবিচল থেকে দ্বিনপ্রচার অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাফসিরবিদরা এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, (অবিচল থাকার অর্থ হলো) যাবতীয় বিশ্বাস, কর্ম, চরিত্র, অভ্যাস ও সামাজিকতার যথাযথ সমতা ও ভারসাম্য কায়েম রাখুন। কোনো দিকেই যেন কোনো রকম বাড়াবাড়ি না হয়। কাফেদের সন্তুষ্ট করার জন্য এই দ্বিনের মধ্যে কোনো রদবদল ও হ্রাস-বৃদ্ধি করবেন না।

‘কিছু নাও এবং কিছু দাও’ নীতির ভিত্তিতে এই পথভ্রষ্ট লোকদের সঙ্গে কোনো আপস করবেন না। বলাবাহুল্য, এ রকম দৃঢ়তা সহজসাধ্য নয়। এ কারণেই রাসুল (সা.)-কে সাহাবায়ে কেরামদের কেউ জিজ্ঞেস করেছিলেন যে হে আল্লাহর রাসুল, আপনাকে বৃদ্ধ দেখাচ্ছে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, সুরা হুদ আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে। সুরা হুদের ১১২ নম্বর আয়াতে এ আদেশ এ ভাষায়ই ব্যক্ত হয়েছে। সেখানেও দ্বিনের ওপর অবিচল থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং যেভাবে তুমি নির্দেশিত হয়েছ সেভাবে তুমি ও তোমার সঙ্গী যারা তাওবা করেছে, সবাই অবিচল থাক। আর সীমালঙ্ঘন করো না। তোমরা যা করছ নিশ্চয় তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা। ’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১১২)

দ্বিনের ওপর অবিচল থাকা যেমন কঠিন, তার পুরস্কারও তেমন বড়। যারা সর্বাবস্থায় হকের ওপর অবিচল থাকে, তাদের প্রশংসা করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ অতঃপর অবিচল থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে অবতীর্ণ হয় (এবং বলে,) ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করো, তোমাদের যার ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল। ’ (সুরা ফুসিসলাত, আয়াত : ৩০)

সুবহানাল্লাহ। এ জন্য আমাদের নবীজি (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে ঈমানের ওপর অবিচল থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ আস সাকাফি (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে ইসলাম সম্পর্কে এমন একটি কথা বলুন যে আমাকে এ সম্পর্কে ‘আপনার পরে’ অন্য কারো কাছে জিজ্ঞেস করতে না হয়। আবু উসামার হাদিসে রয়েছে, আপনি ছাড়া আর কাউকে জিজ্ঞেস করব না। তিনি বলেন, ‘বলো আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম’, অতঃপর এর ওপর অবিচল থাকো। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪)

সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে ‘ইসতিকামাত’ বা অবিচল থাকার বিভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যেমন—আবু বকর (রা.) বলেন, ইসতেকামাত বা অবিচলতার অর্থ হলো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক (অংশীদার) না করা। ওমর (রা.) বলেন, অবিচলতার অর্থ হলো, যেকোনো বিষয়ে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পালন করা এবং শিয়ালের মতো এদিক-সেদিক না যাওয়া। ওসমান (রা.) বলেন, আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে আমল করা। আলী (রা.) বলেন, অবিচলতার মানে হলো, ফরজগুলো গুরুত্বসহ আদায় করা। (মাদারিজুস সালিকিন : ২/১০৪)

অতএব আমাদের উচিত, যেকোনো পরিস্থিতিতে ঈমানের ওপর অবিচল থাকা, সব ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ ও নবীজি (সা.)-এর সুন্নতকে প্রাধান্য দেওয়া। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হকের ওপর অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com