বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে খুশির দিনটি উপভোগ করতে ব্যস্ততম নগরী ঢাকা ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট ব্যস্ত হয়ে উঠছে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায়। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ এসে নামছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। ঘরে পৌঁছানোর আকাঙ্খার স্পষ্ট ছাপ চোখে-মুখে। পথের পুরো ভোগান্তি পায়ে পিষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়বে ঘরে পৌঁছে।
এমন অভিমত ঘরমুখো মানুষের। বুধবার সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাটে গিয়ে দেখা যায় এমনই দৃশ্য।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে এ ঘাটে। প্রতিটি লঞ্চ, স্পিডবোট, ফেরিতেই ছিলো যাত্রীদের উল্লেখযোগ্য চাপ। আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিতেও যাত্রীরা পার হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, দুই শতাধিক স্পিডবোট ও ১৯টি ফেরি যাত্রীসেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাটে মাদারীপুরের যাত্রী শাহজাহান হাওলাদার বলেন, তিন বা চারদিন পরেই ঈদ-উল ফিতর। আর ঈদের এই সময়েই রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদের সময়টা কাটায়। আর এ সময় যাত্রাপথে ভিড় থাকবে, সেই সঙ্গে থাকবে ভোগান্তিও। সব কিছু মেনে নিয়ে ঘরে পৌঁছানোটাই হলো জয়ের আনন্দের মতো।
বরিশালের উদ্দেশ্যে যাওয়া তৈয়ব খান বলেন, সকাল থেকেই সব জায়গায় বেশ ভিড়। লঞ্চে অনেক যাত্রী ছিলো। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা কিছুটা উত্তাল রয়েছে। তবে লঞ্চে যাত্রীর পরিমাণ বেশি হলেও অতিরিক্ত ছিলো না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, ‘ঈদের আগে লঞ্চে চাপ থাকে শিমুলিয়া ঘাটে। আমরা কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে প্রায় যাত্রী শূন্য লঞ্চগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছি। সকাল থেকেই যাত্রীরা ফিরতে শুরু করলেও লঞ্চে কোনো প্রকার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বিঘেœই যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে নামছেন।’
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, এই নৌরুটে স্বাভাবিক সময়ে ১৭টি ফেরি চললেও ঈদে আরো ২টি ফেরি যোগ করায় এখন চলছে ১৯টি ফেরি। এছাড়া ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পীডবোট নিয়মিত কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে চলাচল করে। নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে ও যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে নৌপুলিশ টহল দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আগামীকাল ভোর থেকে থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস