মোঃ নজরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি, বাংলা৭১নিউজ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়ায় নতুন ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ ধীরগতিতে চলায় ঈদের আগে শেষ হচ্ছে না। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ঘাট সংকটে ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা করছে যাত্রী ও এলাকাবাসী।
গত বছর বন্যায় দৌলতদিয়াঘাট পয়েন্টে নদী ভাঙনে একে একে ৪টি ফেরিঘাট ভেঙ্গে য়ায়। এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড় হয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট পার হওয়া দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তীর শিকার হন। এ বছর যাত্রীদের নির্বিগ্নে নদী পার হওয়ার জন্য নতুন করে দুটি ফেরিঘাট স্থাপনেরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপর লঞ্চঘাট এলাকার কাছে আঃ মজিদ শেখের পাড়ায় দুটি ঘাট স্থাপনের জন্য ঐ এলাকার বেশ কিছু বাড়ীঘর অপসারন করে ভূমি অধিগ্রণ করে এ্যাপ্রোস সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ভূমি মালিকদের মামলা ও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে ঘাট দুটির কাজ ধীর গতিতে চলছে।
এরপর প্রায় দেড় মাস ধরে মহাসড়ক থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত বেকু দিয়ে মাটি খনন করে বিশাল গর্ত করে ফেলে রাখা হয়েছে। এর পর আর কাজ তেমন আগাচ্ছে না। এতে করে সামনে বর্ষা মৌসুমের আগে ঐ কাজ শেষ করা সম্ভব না হওয়ার আশঙ্ক দেখা দিয়েছে। অপর দিকে নদী ভাঙন রোধের জন্য তেমন কোন বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু কোটি কোটি টাকা খরচ গতানুগতিক ভাবে ফেরিঘাট এলাকায় নদীর পাড় দিয়ে জিআই ব্যাগে বালু ভর্তি করে ফেলে রাখা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই বৃষ্টিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করছে শুধু নদীর পারে বালুর ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে না। ঘাট এলাকার জৈনিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামনে বর্ষায় ভাঙন শুরু হলে আবারও ভোগান্তিতে পড়বে এ রুটের যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, নতুন দুটিঘাট তৈরীর কাজ ঈদের আগে শেষ হবে না। তাই পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রসাশক মহোদয়ের অনুরোধে ঝুকি নিয়ে ৩নং ও ৪নং ঘাট দ’ুটি মেরামত করে পারাপারের জন্য সচল রাখা হয়েছে। সামনে বর্ষায় ঘাট দুটি সচল রাখা সম্ভব হবে কি না বলা মুশকিল। নতুন ঘাট দুটির কাজ শেষ হলে হয়ত ৩ ও ৪ নং ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
এ ব্যাপারে রোডস এন্ড হাইওয়ের উপ-বিভাগীয় মোঃ শাহরিয়ার রুমী জানান, প্রায় ৩ কোটি টাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাইফুল হাসান জোয়াদ্দার নতুন দুটি ঘাটের এ্যাপ্রোস সড়ক তৈরীর কাজ পেয়েছেন। এ ছাড়া তারা মহাসড়কের লঞ্চঘাটের বাঁক থেকে ফেরিঘাটের শেষ পর্যন্ত সংস্কার কাজ করবেন। দেড়মাস আগে ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজ শুরু করেছেন। এ্যপ্রোস সড়কের কাজ শুরু করার সময় ঐ এলাকার ভূমি অধিগ্রহন কালে উচ্ছেদ হওয়া স্থানীয় বাড়ীর মালিকরা আদালতে মামলা দেন। ২৯শে মামলার কাজ শেষ হওয়ার পর সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা ঈদের আগে একটি ঘাট চালু করা চেষ্টা করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস