বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ইয়েমেনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে বিমান হামলার প্রতিবাদে রোববার রাজধানী সানায় কয়েক হাজার লোক রাস্তায় নেমে আসে। শনিবারের ভয়াবহ ওই হামলায় ১শ’ ৪০ জনের বেশি লোক প্রাণ হারায়।
এদিকে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের বাইরেও বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে এই হামলার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা এই ঘটনার জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে দায়ী করে।
সৌদি আরব এই ঘটনার সঙ্গে দেশটির কোন ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। তারা এই ঘটনার তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত বছর সৌদি আরব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের পক্ষে লড়াইয়ে যোগ দেয়।
ইয়েমেনের শক্তিশালী সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ্ সালেহ্ এই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে সীমান্তে সৌদি সৈন্যদের ওপর হামলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সালেহ্ হুতি বিদ্রোহীদের মিত্র। হুতি বিদ্রোহীরা সানাকে নিজেদের দখলে রেখেছে।
হুতি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গাওয়াল আল-রাইশানের বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে শনিবারের বোমা হামলায় ৫শ’ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।
অনেক হুতি কর্মকর্তা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং রাউইশানও ওই হামলায় গুরুতর আহত হন।
একজন উদ্ধারকারী ঘটনাস্থলকে ‘রক্তের বন্যা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেন, ‘বেসামরিক লোকের ওপর কোন ধরনের হামলাই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ‘অবিলম্বে ইয়েমেনের জয়েন্ট ইন্সিডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট টিম ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্তের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে হুতি নেতা আব্দুল মালেক আল-হুতি টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পর হামলাটি চালানো হয়েছে। হামলায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
বিদ্রোহীদের এই মুখপাত্র হামলাটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক অফিস জানায়, ইয়েমেনের প্রতি ৫ নাগরিকের মধ্যে ৪ জন অত্যন্ত মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
২০১৪ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস