নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, এটা একটা ব্যর্থ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা। ইসির যে আস্থার সংকট, যে কথা তারা নিজেরাই বলছে, তা দূর করতে তাদের একটা কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা দরকার।
এজন্য তাদের কিছু কাজ করতে হবে। প্রথমত, মানুষকে বিভ্রান্ত করার পথ থেকে সরে আসতে হবে। তারা ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। ইভিএমের পক্ষে ১৭টি দলের মত রয়েছে বলে ইসি যে দাবি করেছে তা সঠিক নয়। বিভ্রান্ত করার এ পথ থেকে তাদের সরে আসতে হবে। অর্থাৎ তাদের সততা, নৈতিকতা ও যৌক্তিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। আমাদের সংবিধানে তাদের সে অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি অতীতে তাকাই তাহলে দেখব ১১টি নির্বাচনের মধ্যে চারটি হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
এ নির্বাচনগুলো মোটামুটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগের দুটিসহ বাকি নির্বাচনগুলো দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। যার সব ছিল বিতর্কিত। নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে ইসির যে সাংবিধানিক ম্যান্ডেট তা প্রতিপালনের জন্য সরকারকে বলতে হবে তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে তাই এমন একটি সরকার নিশ্চিত করো যাতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, ইসির আস্থার সংকট দূর করতে এখন থেকে বিরোধী দলের ওপর হামলা মামলা বন্ধ করতে হবে। যাতে নির্বাচনের একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়। না হলে আগামী নির্বাচনে মাঠে বিরোধী দল বলে কিছু থাকবে না। সবশেষ ইভিএম থেকে তাদের সরে আসতে হবে। এটা নিয়ে তারা অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইসির আস্থা অর্জনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ কাজগুলো আগে করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/একে