ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর দুই দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন ৯ জানুয়ারি শনিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হয়েছে। ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, পিএইচডি প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুদ্দিন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন এফসিএ, এফসিএমএ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, এফসিএ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল করিম, প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন, পিএইচডি, মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম, সৈয়দ আবু আসাদ, মোঃ কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, খুরশীদ উল আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ এবং মোঃ জাকির হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
আরো বক্তব্য দেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, ঢাকাস্থ চারটি জোনের প্রধান এবং দেশব্যাপী ১১টি ভেনুতে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অন্যান্য জোনপ্রধান ও ৩৭৩টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা যা গত বছরের তুলনায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার কোটি টাকা এবং গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ। ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৪১,৯০৫ কোটি, ২২,৪৯৭ কোটি এবং ৪৮,৬২৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালে ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স সংগৃহীত হয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬০%। ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৩৭৩টি শাখা, ১৬১টি উপশাখা, ২২৭৫টি এজেন্ট আউটলেট, ১৭৫২টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে।
চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, চলমান কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বিশ্ব আজ সংকটাপন্ন অবস্থা অতিক্রম করছে। এই পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে আধুনিক ও আসন্ন প্রযুক্তির সাথে অভিযোজিত হয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার তুলনায় চলমান সংকটের প্রভাব ৮ গুণেরও বেশি। অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সেক্টরের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যাংকের সেলফিন, এমক্যাশ, আই-ব্যাংকিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবার আরো বেশি প্রসার ঘটানোর পরামর্শ দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ”লমান সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয়ভাবে ঘোষিত প্রণোদনার সর্বোচ্চ পরিমাণ ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ব্যাংক অত্যন্ত সচেতনতার সাথে আন্তরিকভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বিনিয়োগ সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আর্থিক খাতের প্রযুক্তি ‘ফিনটেক’ ব্যবহার করে সম্ভাব্য সকল খাত ও আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
বাংলা৭১নিউজ/সর