বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা দেখেছে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা নামে সংগঠনটি কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লায়লা আরজুমান্দ বানু বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১৯ সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে দাবি করা হয়েছে ‘সম্প্রতি ইসলামী ছাত্রীসংস্থা নামে একটি ছাত্রী সংগঠন কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ও সরলমনা ধর্মভীরু মহিলাদের জিহাদে অংশগ্রহণসহ প্রচলিত সংবিধানের বাইরে সমাজ প্রতিষ্ঠা করা তথা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির হীন-লক্ষ্যে জিহাদি মনোভাবাপন্ন করে তোলার অপচেষ্টা করছে মর্মে জানা যায়।’
চিঠিতে প্রাপক হিসেবে রেজিস্টার, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে আরো বলা হয়েছে ‘অনতিবিলম্বে এই অপচেষ্টা বন্ধ করা প্রয়োজন। বর্ণিতাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় অনুরূপ কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
ছাত্রীসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খোন্দকার আয়েশা খাতুন।
দেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে বিস্তৃত রয়েছে সংগঠনটির কার্যক্রম। এর বর্তমান সভানেত্রী ডা. শিরিন আক্তার রুনা এবং সেক্রেটারী জেনারেল ফারজানা আক্তার লূনা।
সংগঠনটির লক্ষ্য উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের ছাত্রী সমাজকে আল্লাহর কোরআন ও রাসূলের সুন্নাহ অনুযায়ী গঠন করে তাদেরকে আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে গড়ে তোলা এবং দ্বীন ইসলামের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করা, যাতে করে দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি হাসিল করা যায়।’
বাংলা৭১নিউজ/বিবিসি অবলম্বনে