বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ইসরাইলি একজন স্যাটেলারকে খুন করার অভিযোগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সাবেয়ীহসহ তার আরো তিন বোনকে হেনস্থা করতে থাকে ইসরাইলি বাহিনী। ওই দিন আর ধৈর্য্য ধরে থাকতে পারেননি সাবেয়ীহ।
এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর কারণে ১৬ মাস ইসরাইলের কারাগারে আটক থাকতে হয়েছে তাকে। তিনি জানান, সেখানকার কারাগার আর কবরের মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই।
আটকের পর যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখানকার অবস্থাও ছিল বীভৎস। হাত বেঁধে, চোখ বেঁধে অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, মেঝে ছিল একেবারে স্যাঁতস্যাঁতে, ঠান্ডা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওইভাবে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে সেনারা এসে মাথার চুলের ক্লিপ থেকে শুরু করে হিজাবও খুলে নিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি এতোটাই জঘন্য যে, না দেখলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। তবে আমি কখনোই ইসরাইলি সেনাদের বুঝতে দিতাম না যে ভেঙে পড়েছি। তবে তারা যখন কেউ থাকতো না, ওই সময় নীরবে চোখের পানি ফেলতাম। একটা সময় মনে হতো, চোখ দিয়ে বুঝি আর পানি বের হবে না, এবার রক্ত বেরিয়ে আসবে।
অন্যদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তুলে ধরা একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইরাকে ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে মহিলা এবং শিশুদের ওপর শাস্তিস্বরূপ চলছে যৌন নির্যাতন। এমনকি বাড়িও ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের, বিভিন্ন ক্যাম্পে তাদের ওপর চলছে অত্যাচার।
ক্যাম্পে অর্থের বিনিময়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা হচ্ছে মহিলাদের। রয়েছে ধর্ষণের হুমকিও। অনেকে ধর্ষণের সাক্ষী হয়েছে, কেউবা সেই ভয়াবহ অত্যাচারের চিৎকারও শুনেছে। সূত্র : এরাবিয়ান জার্নাল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস