বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো শনিবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার ইসরাইলি। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তের অধীনে রয়েছেন এখন বেনিয়ামিন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশ বলেছে, শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ইসরাইলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে এত মানুষকে রাজপথে দেখা যায় নি। গত সপ্তাহের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল ২০ হাজারের মতো মানুষ।
তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি চার দফায় ইসরাইলের ক্ষমতায়। সন্দেহ করা হয় তিনি কমপক্ষে দুটি মামলায় জড়িত। প্রথমটি হলো ধনকুবের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ হলো বিরোধীদের একটি পত্রিকাকে কাউন্টার দেয়ার জন্য তার নিজের রিপোর্ট বেশি কাভারেজ দিতে অন্য একটি পত্রিকার মালিকের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছিলেন। যদি এসব অভিযোগে তিনি আদালতে অভিযুক্ত হন তাহলে তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়বে মারাত্মকভাবে। অথবা তাকে একটি নতুন নির্বাচন দিতে হবে এবং তার মাধ্যমে নিজের দেশ চালানোর ম্যান্ডেটের বিষয়ে প্রমাণ দিতে হবে। ওদিকে তার নিজের ডানপন্থি দল লিকুদ পার্টি ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হয়েছে তা করেছে বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলো। ফেসবুকের ওই পোস্টে ইসরাইলের সব মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় তাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নিতে। ওদিকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে যে কড়া সমালোচনা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়, জেরুজালেম ইস্যুতে সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও একীভূত শক্তি হিসেবে দেখানোর পরিবর্তে বাম ঘরানার রাজনীতিকরা এর সঙ্গে থাকছেন না। তারা বিভক্তি সৃষ্টি করাকেই বেছে নিয়েছেন। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীরা নিজেদেরকে একই সঙ্গে ডান ও বাম পন্থি দলগুলোর সদস্য বলে পরিচয় দিচ্ছে। শনিবার তারা যে ব্যানার বহন করেন তাতে লেখা ছিল, ‘বাম নয়, ডান নয়, আমাদের দাবি অখণ্ডতা। আমরা দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের নিয়ে হতাশ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস