বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার পর গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টা ১২মিনিটে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিট পর্যন্ত। এবার সমিতির ভোটার ছিল ৪২৮ জন। কিন্তু ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেন।
নির্বাচন কমিশনার জানান, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪২৮। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। শতকরা হিসেবে ভোট পড়েছে ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ভোট সুষ্ঠু হয়েছে জানান নির্বাচন কমিশনার।
সকাল থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির ৪৪ অভিনয়শিল্পী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৪২৮ জন ভোটার ২২ জনকে প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার নির্বাচন করেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী চিত্রনায়িকা নিপুণকে হারালেন প্রতিদ্বন্দ্বী গত দুবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
জায়েদ খানের চেয়ে ২ ভোট কম পেয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ।
অন্যান্য পদের ভেতর সহ-সভাপতি পদে মিশা-জায়েদ প্যানেলের ডিপজল ও রুবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের মামনুন ইমন জয়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের জয় চৌধুরী।
কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, আলীরাজ, মৌসুমী, চুন্নু আর কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ফেরদৌস, কেয়া, জেসমিন ও অমিত হাসান। এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন ভোটার। বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট।
সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯১, সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ১৭৬, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক ২১২ ভোট, সহ-সভাপতি পদে ডিপজল ২১৯, রুবেল ১৯১ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এফডিসি প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় নির্বাচন। সকাল থেকে শিল্পী আর উৎসুক জনতার ঢল নামে এফডিসি অভিমুখে। সারা দিনই ভেতরে ছিল শিল্পীদের মিলনমেলা, বাইরে শত শত মানুষের ভিড়। বিকেল ৫টা ১২ পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।
দুপুরের বিরতির আগপর্যন্ত ১৩৭ জন ভোটার ভোট দেন।