বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: মুসলিম শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার প্রস্তুত হলেও বাংলাদেশ সরকার এখনও শরণার্থীদের তালিকা শেষ করতে পারে নি। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার বিষয়টি জানানোর পর এভাবেই খবরটি উপস্থাপন করে ইরাবতী।
রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম সোমবার বলেছেন, প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করতে হচ্ছে। কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে সেটা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বলেন নি। ওদিকে, মিয়ানমারের সমাজ কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ড. উইন মিয়াত আয়ে বলেছেন, মংদুর তাউংপিয়োলেতোয়ে এবং নগা খু ইয়া প্রত্যাবাসন ক্যাম্পে শরণার্থীদের জন্য তাবু, বাস, খাবার, পানি সরবরাহ প্রস্তুত করা হয়েছে। পার্লামেন্টে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চুক্তি মোতাবেক, ২৩শে জানুয়ারি থেকে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা। আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
আমরা তালিকা পেলে, কালই শুরু করতে পারি। কিন্তু আমরা এখনও তা পাইনি।’
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ মিয়ানমার সরকার ১২০০’র বেশি শরণার্থীকে যাচাই বাছাই করে। এর মধ্যে ৭৫০ জন মুসলিম এবং হিন্দু ৫ শতাধিক। দু’দেশের মধ্যে হওয়া সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক, এসব শরণার্থীর কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকারের জানতে চাওয়ার কথা তারা ফিরতে আগ্রহী কি না। এরপর ফেরত ইচ্ছুকদের তালিকা প্রত্যাবাসনের আগে পাঠানোর কথা। ইরাবতীর রিপোর্টে মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবর উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রত্যাবাসনের পর শরণার্থীদের রাখা হবে উত্তর রাখাইনের হলা পো খাউং ক্যাম্পে। পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেটাই হবে তাদের আশ্রয়।
রিপোর্টের শেষে বল হয়, নিরাপত্তা আশ্বাসে ঘাটতির কারণে মিয়ানমারে ফেরতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখনই প্রত্যাবাসন শুরু পেছানোর সিদ্ধান্ত এলো বাংলাদেশের তরফে।
আর ন্যাপিডতে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতা ইউ অং থাউং শোয়ে বলেছেন, ফেরত যাওয়া ব্যক্তিদের রাখাইন রাজ্যে স্বাগত জানানো হবে না। বুথিডাউং এলাকার ওই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘সরকার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে কি করছে তা আমাদের জানানো হয় নি। আরাকানি সম্প্রদায় তাদের ফেরত চায় না। তাদের বিশ্বাস, ওরা ফিরে এলে ফের সমস্যা বাড়বে।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস