বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক:
ইরানের পার্লামেন্ট ও আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে হামলা করেছে সশস্ত্র ব্যক্তিরা। তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। এতে পার্লামেন্টের ভিতরে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৭। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, ইরনা ও অনলাইন বিবিসি। তাসমিনা নামের একটি বার্তা সংস্থা বলেছে, হামলাকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের ভিতরে চারজনকে জিম্মি করেছিল।
তবে এ রিপোর্টের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা যায়নি। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসেছে তেহরান নিরাপত্তা পরিষদ। স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টা থেকে এ বৈঠক চলছে। পরিষদের একজন কর্মকর্তা আলী রেজা মহদাবি শাহরুদি বলেছেন, তেহরানে হামলার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বৈঠকে।
পার্লামেন্ট ছাড়াও আধুনিক ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারেও হামলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ফার্স বলছে, রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে ওই মাজারটি ঘিরে ফেলে তিনজন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। এ সময় তাদের দু’জন মাজারে যাওয়া পর্যটকদের গুলি করতে থাকে।
তৃতীয় জন আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, পার্লামেন্টে হামলার ঘটনা এখন শান্ত হয়ে গেছে। পার্লামেন্টের ভিতরে ও বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষী। একজন এমপিকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা আইআরআইবি বলেছেন, পার্লামেন্ট ভবনের ভিতরে হামলা চালায় একজনই।
এ সময় তার হাতে ছিল একে-৪৭ রাইফেল। এমপি ইলিয়াস হযরতি বলেছেন, তিনজনে হামলা চালায়। এর মধ্যে দু’জনের কাছে ছিল কালাশনিকভ রাইফেল। একজনের কাছে ছিল পিস্তল।
অনলাইন সিএনএন বলছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। ইমাম খোমেনির মাজারে বিস্ফোরণ হয়েছে। পার্লামেন্টে গোলাগুলি হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে আরো বলা হয়, বোমা হামলার পর একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘ্টনার আকস্মিকতায় বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে বিভিন্ন রকম খবর প্রচার করা হচ্ছে।
ফলে সব খবরের সত্যতা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, পার্লামেন্ট ও ইমাম খোমেনির মাজারে হামলার প্রায় একই সমেয় দক্ষিণে ইমাম খোমেনি বন্দরে আমির কবির পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্সে আগুন দেয়া হয়েছে।
এতে কোন প্রাণহানী হওয়ার আগেই সবাইকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হামলার সঙ্গে এই অগ্নিকা-ের কোন সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। আধা সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ বলছে, হামলা চালানোর পর পার্লামেন্টের সব গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এমপি ও সাংবাদিকদের যার যার কক্ষে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পার্লামেন্ট ভবনের ওপর দিয়ে নিরাপত্তা প্রহরা দিচ্ছিল হেলিকপ্টার। আশপাশের মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস