বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ইরাকের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার পর এই প্রথম দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরাকের নিবন্ধিত প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে ভোট কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে পার্লামেন্টের ৩২৯টি আসনের জন্য ৭ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জিহাদিদের সঙ্গে লড়াইয়ে বিজয়ের পর এই প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শনিবারের এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশটি পুনর্গঠন শুরু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে ঠিক সেই মুহূর্তে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করার পরও দেশটিতে অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়ে গেছে। দেশটির শাসন কর্তৃত্ব শিয়াদের হাতে, কুর্দিরা বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে এবং সুন্নীরা পিছিয়ে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হাইদার আল-আবাদি ২০১৪ সালে ইরাকব্যাপী আইএস এর ধ্বংসযজ্ঞের সময় ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি জিহাদিদের পরাজিত ও কুর্দিদের স্বাধীনতার প্রচেষ্টা সামাল দেয়ার দাবি করে নতুন মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় যাওয়ার আশা করছেন।
ইরাকের রাজনীতিতে কর্তৃত্বকারী শিয়াদের মধ্যেই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে। তাই তাদের ভোটগুলো একাধিক প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে।
আইএস এর আগ্রাসনের কারণে ২০ লাখের বেশি ইরাকী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যূত আছে। এছাড়াও আইএসকে পরাজিত করলেও এখনো বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি রয়ে গেছে, যা নির্বাচনকেও ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। সূত্র : এরাবিয়ান জার্নাল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস