বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির তদন্ত করে অপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
এফবিআইয়ের পরিচালক বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন ইমেইল ব্যবহার করা নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, সেটা নিয়ে তদন্তের পর দেখা যাচ্ছে হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা উচিত হবে না।
মার্কিন নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েকঘন্টা, সেই সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ।
কংগ্রসেম্যানকে পাঠানো এক চিঠিতে এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি বলেন, ঘটনার পর্যালোচনা শেষ করেছে এফবিআই। তবে সেখানে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে এই ঘটনা নিয়ে মি. কোমি’র আগের বক্তব্যই অপরিবর্তনীয় রয়েছে।
গত জুলাই মাসে কোমি বলেছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যাবহার করে সংবেদনশীল তথ্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে হিলারি অসাবধান ছিলেন কিন্তু অপরাধী নয়।
এফবিআই প্রধানের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হিলারির নির্বাচনী প্রচারণার যোগাযোগ শাখার প্রধান ডেনিফার পালমিয়েরি।
তিনি বলেন, হিলারির কাছে পাঠানো কোমির চিঠিটা আমরা দেখেছি। আমরা আনন্দিত যে, গত জুলাইয়ে তিনি যে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন সেটিই পাওয়া গেছে। আমরা অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তিনি এটাই পাবেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই ব্যাপারটার একটা সমাধান হলো।
ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যসমৃদ্ধ ইমেইল ব্যবহার করা নিয়ে নির্বাচনের কিছু দিন আগে হঠাৎই বিতর্ক দেখা দেয়। এ কারণে হিলারির নির্বাচনী প্রচারণাও টালমাটাল অবস্থায় পড়ে। তবে, শেষ মুহূর্তে দেয়া কোমির এই বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির।
রিপাবলিকান প্রার্থীর উপদেষ্টা নেট গিংগ্রিচ এক টুইটে বলেন, ‘কোমি নিশ্চয়ই অনেক রাজনৈতিক চাপে ছিলেন।’
বাংলা৭১নিউজ/সি