বাংলা৭১নিউজ, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের দুই কর্মী আহত হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে টিএসসিসিতে আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী রেজওয়ানুল ইসলামের সাথে বায়োটেকনোলজি বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সভাপতি গ্রুপের কর্মী আল-আমিন মিলনের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রেজওয়ান ও তার বন্ধুরা মিলনকে মারধর করলে সে পালিয়ে হলে আশ্রয় নেয়। এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের হিমেল চাকমা, নীল, জসিম সহ কয়েকজন হলে প্রবেশ করলে সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলাম সহ কয়েকজনের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নাইম সহ কয়েকজন হিমেল কে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করে।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর অন্যান্য হল থেকে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা এসে নাইমকে তার কক্ষে (৩১৬) না পেয়ে তালা ভেঙে তার কক্ষে ভাঙচুর চালায় এবং হলের অভ্যন্তরে মিছিল দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ালবডি ও ইবি থানার পুলিশের টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাপদক জুয়েল রানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সভাপতি গ্রুপের শিবিরের অনু প্রবেশকারী সজল ও তার কর্মীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে দুই গ্রুপের কর্মীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঘটনা শোনা মাত্রই আমি ক্যাম্পাসে এসে আমার কর্মীদের শান্ত করি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনা উস্কানীতে তারা আমার কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছি। বিচার না পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুর রহমান বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারনে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। বিষয়টি শোনামাত্রই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং সভাপতি ও সেক্রেটারীর সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস