বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনিরুজ্জামান খান, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার নদী তীরের মানুষগুলো অধিকাংশ দিন মজুর ও মৎস্যজীবি। এখন ইলিশের মৌসুম হলেও ইলিশ শিকার নিষেধ। তাই জেলেরা নদীতে যেতে পারছে না। আবার টানা বৃষ্টি ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিনমজুরেরা। ফলে তাদের পরিবারগুলোতে ঈদ আনন্দ ম্লান হতে যাচ্ছে। উপজেলার চাড়াখালী গুচ্ছগ্রাম, পাড়েরহাট আবাসন, সাউথখালী আবাসন ও কলারন ব্যারাকের কয়েক শত পরিবার অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তাদের মধ্যে নেই ঈদ আমেজ। ‘ভাত খেতেই যাদের কষ্ট হয়, তাদের কাছে ঈদ বস্ত্র স্বপ্নের মত’ এমন মন্তব্য এই হতদরিদ্রদের।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, কলারন জাপানী ব্যারাক হাউজের ৩৭ টি পরিবার পানি, চিড়া বা মুড়ি দিয়েই ইফতার করেছেন। আবার অনেকে শুধু ভাত দিয়েই ইফতার ও সেহরি করেছেন। দিন আনে দিন খায় এখানকার বাসিন্দারা। রমজান মাসে কেউ খোঁজ খবর নেয়নি বলে তাদের অভিযোগ। আসেনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। তাই তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আক্ষেপের সাথে অভিযোগ করে জাপানী ব্যারাক হাউজেরা বাসিন্দা মোঃ জলিল জোমাদ্দার জানান, ‘ভোটের সময় নেতারা আমাগো খবর নেয়। আর হারা বছর হ্যাগো কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। মোগা আবার কিসের ঈদ!’
কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, ‘মোরা যারা ক্ষ্যাতে খামারে কাম হরি মোগো কপালে কিছু না কিছুতো জোডে। তয় ব্যারাকে যারা থাহে হ্যারা পায়না কিছুই। খাইয়া না খাইয়া থাহে গুরাগারা লইয়া।’
ব্যারাকের বাসিন্দা আয়নাল হোসেন জানান, সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে তারা বঞ্চিত। তাদের রোযার মধ্যে কেউ কোন খোঁজ নেয়নি। ঈদে তাদের সন্তানদের নতুন কাপড় কিনে দেয়ার মত অবস্থা নেই। তাই হয়তো ঈদের দিনটিও কাটবে তাদের অন্য দশটি দিনের মত করেই।
বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী জানান, চাড়াখালী গুচ্ছগ্রাম, পাড়েরহাট আবাসন, সাউথখালী আবাসন ও কলারন ব্যারাকের কয়েক শত পরিবার অতিদরিদ্র। যাদের ঈদ বস্ত্র ক্রয়ের সাধ্য নাই। এই অসহায় মানুষদের পাশে বিত্তবানদের দাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস