বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আদালতের নির্দেশ পাওয়ার ৮ মাস পার হলেও ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। বরং আদালতের এ রায় বাস্তবায়নে টালবাহানা করছে তারা। চেয়ারম্যান, জেলা ও দায়রা জজ, তৃতীয় শ্রম আদালত, ঢাকা এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছে।
পুলিশ বলছে, বাহাউদ্দীনকে খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে বাহাউদ্দীন গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়েই উত্তরা থেকে এসে ওয়ারী থানার কয়েকশ’ মিটারের মধ্যে ইনকিলাবে নিয়মিত অফিস করছেন। শুধু তাই নয় বিদেশেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সপরিবারে তিনি সিঙ্গাপুর ও ব্রিটেন সফর করেন এবং বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। সফরকালে তিনি লন্ডনে থাকা একজন রাজনৈতিক নেতার সাথেও গোপন বৈঠক করেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ইনকিলাব থেকে চাকরিচ্যুত সাংবাদিক (সাব এডিটর) মুকুল হায়দার তার দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধের জন্য মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালত এ বিষয়ে সাংবাদিক মুকুল হায়দারের পক্ষে রায় দেয় এবং ইনকিলাব সম্পাদককে তার বকেয়া বেতন এবং অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধে নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় আদালত গত বছরের ৬ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে। ১২ ডিসেম্বর ওয়ারী থানা আদালতের অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট পাবার পরও অদ্যাবধি এ এম এম বাহাউদ্দীনকে গ্রেফতার করেনি। বরং এ বিষয়ে গড়িমসি করছে।
এ ব্যাপারে মুকুলের আইনজীবী এডভোকেট শাহ আলম বলেন, ‘ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত। কিন্তু ওয়ারী থানা পুলিশ দীর্ঘ ৮ মাস অতিবাহিত হলেও এ অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট তামিল করছে না। বাহাউদ্দীনও আদালত থেকে জামিন নেননি।’
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে চলতি বছরের মে মাসেও ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি থেকে অন্যায়ভাবে শতাধিক সাংবাদিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে। এদের মধ্যে অনেককে ইনকিলাব সম্পাদক মোট পাওনার ৩০ ভাগ দিয়ে জোর করে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে সকল পাওনা বুঝিয়া পাইলাম বলে স্বাক্ষরও নেন। এরপর ৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও তাদের ২৬ মাসের বকেয়া বেতন এবং অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি।
এদিকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ওয়ারী থানায় এক ডজনেরও বেশি সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ তদন্তে সেগুলোর সত্যতা পেলেও এখনো কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওয়ারী থানা পুলিশের এ ভূমিকা নিয়ে খোদ পুলিশের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস